এটিএম আফছার আলী, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বত্রই প্রশাসনের নাকের ডগার উপর দিয়ে অবাধে বিক্রি হচ্ছে ফরমালিন ও রং মিশানো লিচু। সাধারণ ক্রেতাগণ হুমড়ি খেয়ে ওই সব ফমালিন ও রং মিশানো লিচু ক্রয় করছেন।
উপজেলা শহরসহ বিভিন, হাট বাজারের অলিতে-গলিতে এবং রাস্তার মোড়ে-মোড়ে রকমারি পশরা বসিয়ে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অবাধে ফরমালিন মিশানো লিচু বিক্রি করছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে প্রতি’শ লিচু বিক্রি হচ্ছে ১৮০ হতে ১৬০ টাকা দরে। দিনাজপুর হতে মহাজানরা ট্রাক ও পি-আপ ভ্যানে করে লিচু নিয়ে এসে খুচরা বিক্রেতাদের নিকট দিয়ে যাচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারা ওই সব লিচু চড়া দামে বিক্রি করে অধিক মুনাফা অর্জন করছে। উপজেলার বাহির গোলার মোড়, কাঁঠালতলী মোড়, বঙ্গবন্ধু মূর্যাল চত্বর, বাজার মোড়, মীরগঞ্জ বাজার, কলেজ মোড়, বাইপাস মোড়, মেডিকেল মোড়সহ শোভাঞ্জ হাট, ডোমের হাট, পাঁচপীর হাট, বেলকা বাজার, মজুমদার হাট, ধর্মপুর বাজার, বামনডাঙ্গা রেলষ্টেশন, ঝিনিয়া বাজারের বিক্রি করা হচ্ছে লিচুসহ বিভিন্ন ফলমূল। কথা হয় উপজেলা শহরের বাহির গোলা মোড়ের লিচু বিক্রেতা ফুল মিয়ার সাথে তিনি জানান-আমরা মহাজানদের নিকট থেকে চড়া দামে কিনে এনেছি। এ কারণে আমাদেরকে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। ক্রেতা আনিসুর রহমান আগুন মিয়া জানান-আমি ১০০ লিচু ১৮০ টাকা দরে কিনেছি। আমরা মনে হচ্ছে এর মধ্যে ১০টি লিচু নষ্ট রয়েছে। ধারণা করছি অনেক আগে লিচুর মধ্যে ফরমালিন মিশানো হয়েছে। উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টার শহিদুল ইসলাম জানান- সব সময় ফরমালিন মিশানো ফলমুল পাওয়া যায় না। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সময় না দিতে পারায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম গোলাম কিবরিয়া জানান-সব সময় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা সম্ভব হয় না। এর ফাঁকে হয়তো ব্যবসায়ীরা এ কাজ করে থাকে।