এটিএম আফছার আলী, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সর্বত্রই অবাধে মা ও পোনা মাছ নিধন করা হচ্ছে। সরকারি বিধি নিষেধ থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। এক শ্রেণি অসাধু মাছ প্রেমি কারেন্ট জাল ও বিভিন্ন মাছ ধরার উপকরণ দিয়ে দেশিও মা ও পোনা মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করছে। অনেকে মজা করে খাচ্ছে। যা কারণে বিলুপ্ত প্রায় দেশিও প্রজাতের বিভিন্ন মাছ।
অবিরাম বর্ষণে উপজেলার নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর-ডোবা ও নিচু জলাশয় সমূহ ভরে যাওয়ায় ইতিমধ্যে মা ও পোনা মাছ ছড়িয়ে পড়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিচু জলাশয় সমূহে অসাধু মাছ প্রেমিরা কারেন্ট জাল, ফাঁসি জাল, ডিয়াল, টেমাই, খরা জালসহ বিভিন্ন মাছ ধরার উপকরণ দিয়ে অবাধে নিধন করছেন মা ও পোনা মাছ। মৌসুমের শুরুতেই পোনা মাছ নিধন করার কারণে দিন-দিন হারিয়ে যাচ্ছে দেশিও প্রজাতের- টাকি মাছ, টেংরা, পুটি, শিং, মাগুর, শোয়াল, বোয়াল, কই, মলা ঢেলা, সর পুটি, গছি, খলশা আর অনেক মাছ। রাত-দিন ২৪ ঘন্টা অসাধু মাছ প্রেমি ও জেলেরা বিভিন্ন জলাশয়ে ওই সব প্রজাতের মা ও পোনা মাছ ধরে বাজারের নিয়ে বিক্রি করছে। সু-স্বাদু দেশিও মাছ ক্রয়ে হাট-বাজারগুলোতে ক্রেতাদের উফছে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বেলকা বাজারের মাছ বিক্রেতা জয়ন্ত কুমার জানান- পেটে দায়ে ওই সব মা ও পোনা মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছি। সারা দিন ঘুরে-ফিরে প্রায় ৩০০ হতে ৫০০ টাকার মাছ পাওয়া যায়। উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের সঠিক তদারকির অভাবে সরকারি বিধি নিষেধ না মেনে অবাধে মা ও পোনা মাছ নিধন করছে অসাধু মাছ প্রেমি ও জেলেরা। উপজেলা মৎস্য অফিসার আইরিন আসাদ জানান- চুরি করে রাতে অন্ধকারে ওই সব দেশিও মাছ নিধন করা হচ্ছে। আমাদের কাছে অনেক অভিযোগ এসেছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট’র সাথে কথা বলে খুব শীঘ্রই ওই সব অসাধু মাছ প্রেমি ও জেলেদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে শাস্তি ব্যবস্থা করা হবে।