গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার নলডাঙ্গায় সংবাদ প্রকাশের জের ধরে মনিরুল ইসলাম রতন কর্তৃক সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম শাহিনকে হত্যার চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার আনুমানিক দুপুর ১টার সময় নলডাঙ্গা জে,সি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে। কথিত রতন উপজেলার নলডাঙ্গা প্রতাপ গ্রামের মৃত মফিজুল ইসলামের ছেলে ও নলডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম নয়নের বড় ভাই। এ ঘটনায় ওইদিন সাংবাদিক শাহিন বাদী হয়ে রতন সহ অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামী করে সাদুল্যাপুর থানায় একটি মামলা রুজু করেন। যাহার নং ১০।
মামলা সূত্রে ও ঘটনার বিবরনে জানা গেছে, এ এলাকার নানা অপকর্মের হোতা বামনডাঙ্গা ৪ পুলিশ হত্যা ও নাশকতা সহ একাধিক মামলার চার্জশীটভূক্ত অন্যতম আসামী মনিরুল ইসলাম রতন বেশ কিছুদিন ধরে নলডাঙ্গা বন্দরের ১নং রেলগেইটে অবস্থিত উষা ট্রেডার্স নামের এক ব্যবসা প্রতিষ্টানের ম্যানেজার মিজানকে প্রায়ই নানা রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বিভিন্ন সময়ে ৪০/৫০ হাজার টাকা কৌশলে চাঁদা নেয়।
সম্পতি আবারো সে নানান ছলে ১লক্ষ টাকা চাঁদার জন্য তার কাছে বায়না ধরে বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টি করেন। তার অত্যাচারে ম্যানেজার অতিষ্ট হয়ে ওই চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে চাঁদাবাজ রতন ম্যানেজারের উপর চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। গত মঙ্গলবার রতন কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে ফিল্মী স্ট্যাইলে আবারো তার দাবীকৃত চাঁদার টাকার জন্য ধারালো একটি ছোঁরা সহ দোকান ঘরে ঢুকে ম্যানেজার মিজান কে এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করে রক্তাত্ত জখম করে ফেলে। এ সময় তার আতœ চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুঁটে এসে তাকে রক্ষা করে। পরে স্থানীয়রা ওইদিন তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে দেয়। এর কিছুক্ষন পর চাঁদাবাজ রতন আবার ফিরে এসে চাঁদার টাকা না দেয়া পর্যন্ত দোকান বন্ধ রাখার জন্য হুমকি দেন। একপর্যায়ে তিনি নিজেই দোকানে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বীরদর্পে মোটর সাইকেল যোগে ঘটনা স্থল ত্যাগ করেন। এ ঘটনায় রতনকে জড়িয়ে গত বুধবার নলডাঙ্গায় চাঁদা না পেয়ে এক ব্যবসা প্রতিষ্টানের ম্যানেজারকে মারপিট শীর্ষক একটি খবর দৈনিক ঘাঘট পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত ওই খবরে চাঁদাবাজ রতন অগ্নিমূর্তি হয়ে দৈনিক ঘাঘট পত্রিকার নলডাঙ্গা প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম শাহিনকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘটনার দিন রতন প্রকাশ্যে দিনদুপুরে দেশীয় ধারালো কুড়াল নিয়ে রাস্তায় ওঁৎপেতে বসে থাকেন। এরই মধ্যে সাংবাদিক শাহিন তার কর্মস্থল নলডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজ থেকে বাড়ী ফেরার সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছামাত্র তাকে হত্যার জন্য সন্ত্রাসী রতন তার হাতে থাকা ধারালো কুড়াল দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে। এ সময় আশে পাশের লোকজন দৌড়ে এসে সাংবাদিক শাহিন কে রতনের হাত থেকে রক্ষা করেন। এতে তিনি অল্পের জন্য তিনি প্রাণে বেঁচে যান বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
সাদুল্যাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফরহাদ ইমরুল কায়েস মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন আসামী গ্রেফতারের জন্য জোর চেষ্টা চলছে।