
প্রতিবারের মতো এবারো কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এবারের ঈদ জামাতে মুসল্লির উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম।
সোমবার সকাল ১০টায় ঐতিহাসিক এ ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল থেকেই এ ঈদ জামাতে নামাজ আদায়ের জন্য কিশোরগঞ্জ ও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লির ঢল নামে শোলাকিয়া ময়দানে। ঈদগাহ ময়দানে মুসল্লিদের প্রবেশের জন্য মোট ২১টি ফটকের মধ্যে ৬টি প্রবেশপথ উন্মুক্ত রাখা হয়। এসব প্রবেশপথে স্থাপিত আর্চওয়ে দিয়ে মুসল্লি শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে ঢোকেন।
এর আগে, আরো অন্তত তিন দফা মেটাল ডিটেক্টরে সবার দেহ তল্লাশি করা হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে মুসল্লিদের ছাতা বা কোনো ধরনের ব্যাগ নিয়ে ঢুকতে দেয়া হয়নি। শুধু জায়নামাজ নিয়ে ঢুকতে দেয়া হয় তাদের।
ঈদগাহ ময়দানকে ঘিরে গড়ে তোলা হয় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শহর এবং আশপাশের এলাকায় বাড়ানো হয় গোয়েন্দা নজরদারি। বিজিবি, র্যাব, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান, আরআরএফসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দেড় হাজারেরও বেশি সদস্য দিয়ে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয় শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানকে।
২০১৬ সালের ঈদুল ফিতরের জামাতের আগে ময়দানের বাইরে পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে হামলা করে দুই জঙ্গি। তারা ময়দানের ভেতরে ঢুকে নাশকতার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু দুই পুলিশ সদস্য জীবন বাজি রেখে তা ঠেকানোর চেষ্টা করে। তারপরও এক নারীসহ চারজন নিহত হয়। এর এক বছর পরও রয়ে গেছে সেই হামলার রেশ।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং নিরাপত্তার আশ্বাস দেয়া হলেও জামাতে মুসল্লির উপস্থিতি ছিল খুবই কম।