
বরাবরের ন্যায় এবারও সৌদী আরবের সাথে মিল রেখে আজ রবিবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে লক্ষ্মীপুর, শরীয়তপুর ও চাঁদপুরের ৭০ গ্রামে। সমালোচনা থাকলেও মাওলানা ইসহাক (র.) এর অনুসারী হিসেবে ওইসব এলাকার মানুষ ৩৩ বছর ধরে মক্কা ও মদিনার সাথে মিল রেখে ঈদসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছে বলে জানা গেছে।
আমাদের লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি জানান, জেলার রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও, জয়পুরা, বিঘা, বারো ঘরিয়া, হোটাটিয়া, শারশোই, কাঞ্চনপুর ও রায়পুর উপজেলার কলাকোপা গ্রামসহ ১০টি গ্রামের প্রায় সহস্রাধিক মানুষ মক্কা ও মদিনার সাথে মিল রেখে দেশে আগাম ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে।
রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলার রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও বাজারের তালিমুন কোরান নুরানী মাদ্রাসা মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে আমাদের শরীয়তপুর প্রতিনিধি জানান, জেলার নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর দরবার শরীফের অনুসারী ২০টি গ্রামের প্রায় দশ হাজার মানুষ রবিবার উদযাপন করছে পবিত্র ঈদুল ফিতর।
সুরেশ্বর দরবার শরীফের গদিনিশান পীর কামাল নুরী জানান, দরবার শরীফের পীর জানশরীফ মাওলানার আমল থেকে প্রায় ৫০ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে তারা ঈদ পালন করে আসছেন। জানশরীফ মাওলানা মৃত্যুর পর তার অনুসারীরা এই নিয়ম মেনেই ঈদ পালন করে আসছেন।
রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় দরবার শরীফের ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতর নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ঈদ জামাতের সুরেশ্বর দরবার শরিফের অনুসারীরা অংশ নিবেন বলে জানা গেছে।
আমাদের চাঁদপুর প্রতিনিধি জানান, সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রবিবার চাঁদপুরের প্রায় ৪০ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফের অনুসারীরা দেশে একদিন আগেই ঈদ পালন করে। গত ৮৮ বছর ধরে সাদ্রাসহ ৪০টি গ্রামে ঈদ উদযাপিত হয়ে আসছে।
হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বরকুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে ওই পীরের অনুসারীরা একদিন আগে ঈদ উদযাপন করেন।
এছাড়াও চাঁদপুরের পাশের নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা ও শরীয়তপুর জেলার কয়েকটি স্থানে মাওলানা ইছহাক খানের অনুসারীরাও একদিন আগে ঈদ উদযাপন করেন।সূত্র- আরটিএনএন