কাশ্মির ইস্যু নিয়ে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজমান থাকার পরেও ভারত ও পাকিস্তানের দুই প্রধানমন্ত্রী কাজাকিস্তানে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণকালে সাক্ষাৎ করেছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপি’র খবরে বলা হয়, আস্তানাতে বৃহস্পতিবার সাংহাই করপোরেশন অর্গানাইজেশন কর্তৃক অয়োজিত সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নেওয়াজ শরীফ পরস্পর কুশল বিনিময় ও হাত মিলান।
সতের মাসের ব্যবধানে এটা তাদের আবার দেখা হচ্ছে।
এর আগে উভয় প্রধানমন্ত্রী ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে প্যারিসে ক্লাইমেন্ট চেঞ্জ সম্মেলনে ও পরবর্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পাকিস্তানে অপ্রত্যাশিত সফরকালে দু’দফা তাদের সাক্ষাৎ হয়েছিলো।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, নেওয়াজ শরীফের বাইপাস সার্জারীর পরবর্তী প্রথম সাক্ষাৎ। এ সময় মোদী পাক প্রধানমন্ত্রী শরীফের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদী এ সময় নেওয়াজ শরীফের পরিবার ও তার মায়ের খবর নেন।’
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদীর পাকিস্তান ভ্রমণের কিছু পরেই জানুয়ারি ২০১৬ ভারতের পাঠানকোটে সেনা ছাউনীতে পাকিস্তানী সমর্থনপুষ্ট জঙ্গি গ্রুপ হামলা চালিয়ে ৬ ভারতীয় সেনাকে হত্যা করে। এই ঘটনার পর দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
এ ঘটনার পর ভারত পাকিস্তানের সাথে শান্তি আলোচনা ভেঙ্গে দেয়। যদিও পাকিস্তান জঙ্গি গ্রুপকে মদদ প্রদানের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে কাশ্মিরে ভারতীয় সেনা ছাউনীতে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ১৯ সেনা সদস্যকে হত্যার পর নতুন করে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যেকার সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
এই ঘটনার পর ভারত পাকিস্তানের ভিতরে অবস্থিত অভিযুক্ত জঙ্গি আস্তানাকে লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালায়।
মাঝে মধ্যেই ভারতীয় ও পাকিস্তানী সৈন্যরা সীমান্ত এলাকায় গুলিবিনিময় করে থাকে। ভারতীয় একজন নাগরিককে পাকিস্তানে গোয়েন্দাগিরির অভিযোগে মৃত্যুদন্ড প্রদানকে কেন্দ্র করে যদিও দু’দেশের সরকারের মধ্যে আইনগত লড়াই চলছে।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর দু’দেশের মধ্যে তিনবার যুদ্ধ হয়। এরমধ্যে দু’বার শুধু কাশ্মির ইস্যুতে যুদ্ধ হয়।সূত্র- বাসস