পাঁচ বছর পর ফের ফিরে এল নির্ভয়া কাণ্ডের স্মৃতি৷ এবার তামিলনাড়ুর সালেমে বাসের মধ্যে গণধর্ষণের শিকার এক কিশোরী৷ ঘটনায় তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷
জানা গিয়েছে, সোমবার বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে বছর পনেরোর মেয়েটি৷ রাস্তায় উদ্দেশ্যেহীনভাবে এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়াচ্ছিল সে৷ দুপুরে একটি বাসে উঠে পড়ে সে৷ গভীর রাত পর্যন্ত সেই বাসে চেপেই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায় মেয়েটি৷ বাসে দীর্ঘক্ষণ থাকার সুবাদে ওই মেয়েটির সঙ্গে ভাব জমায় দুই চালক মনিভান্নান, মুরুগান ও কডাক্টর পেরুমল৷ শেষপর্যন্ত রাতে সালেমের গ্রামের রাস্তায় বাস থামিয়ে ওই তিনজন পালা করে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ৷
গভীর রাতে মেয়েটির কান্না শুনতে পান গ্রামবাসীরা৷ খবর দেওয়া হয় পুলিশে৷ ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ৷ ধরা পড়ে তিন অভিযুক্ত৷ ধৃতদের জেরা করছে পুলিশ৷ জানা গিয়েছে, আরও একজনের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ৷ সেই ব্যক্তি ধর্ষণে সঙ্গে জড়িত না থাকলেও, গোটা ঘটনায় যুক্ত৷ এদিকে মেয়েটি উদ্ধারের পর, হাসপাতালে পাঠানো হয়৷ পরে তোলা হল চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সামনেও৷
পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো, তফশিলি জাতি-উপজাতিভুক্ত মানুষদের ওপর অত্যাচার প্রতিরোধ আইন-সহ মোট ৯টি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে৷
প্রসঙ্গত, ঠিক পাঁচ বছর আগে, ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হন এক ছাত্রী৷ ঘটনার দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়৷ ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ বিচার চলাকালীন তিহার জেলে আত্মঘাতী হয় এক অভিযুক্ত৷ আর একজন নাবালক হওয়ায়, তার বিচার হয় জুভেলাইন আদালতে৷ বাকি চারজনকে ফাঁসির সাজা শোনায় দিল্লির ফার্স্ট ট্র্যাক আদালত৷ পরে সেই রায়ের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেন অভিযুক্তদের আইনজীবীরা৷ কিন্ত দিল্লি হাইকোর্টে ফাঁসি সাজা বহাল রাখলে, মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে৷ সম্প্রতি শীর্ষ আদালতও অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ডের সাজাই বহাল রেখেছে৷ সূত্র-সংবাদ প্রতিদিন