1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১:০৩ পূর্বাহ্ন
১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
লালমনিরহাটে দুলুর রোগমুক্তি কামনায় বিএনপির দোয়া মাহফিল গাইবান্ধায় আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন পলাশবাড়ীর হোসেনপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ধানের শীষ প্রতীকের প্রচারণায় লিফলেট বিতরণ গাইবান্ধায় মাসব্যাপী ফুটবল প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ সাংবাদিক রিকতু প্রসাদের মায়ের পরলোকগমন : শোক ও সমবেদনা ঢাকার সোহরাওয়ার্দীতে আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত সম্মেলন: কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে উত্তাল সমাবেশ আমদানির সংবাদে দিনাজপুরে পেঁয়াজের দাম কমেছে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১ ঢাকায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড: বদরগঞ্জে আশরাফুলের জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল পলাশবাড়ীতে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত

‘প্রতিবন্ধী মেয়েদের ঋতুস্রাব বন্ধ করা ও অনেক সময় জরায়ু ফেলে দেয়ার ব্যবস্থাও করা হয়’

  • আপডেট হয়েছে : বৃহস্পতিবার, ১ জুন, ২০১৭
  • ৩৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী নারীদের সঠিক সংখ্যা কত তার কোনও সরকারি বা বেসরকারি হিসেব নেই।

তবে মোট প্রতিবন্ধীদের একটা বড় অংশই নারী এবং নানাভাবে তারা অবহেলার শিকার। সরকারের কর্মকর্তারাও বলছেন, শুধুমাত্র নারী প্রতিবন্ধীদের জন্য বিস্তর কর্মকাণ্ড নেই , যা আছে তা নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই। ফলে আলাদাভাবে নারী প্রতিবন্ধীদের ঋতুস্রাব বা মাসিকের সমস্যাটি নিয়ে কোনও কাজ হয়নি।

প্রতিবন্ধীদের জন্য কাজ করে এমন একটি সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটি ফর চেঞ্জ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি নেক্সাস বা বি-স্ক্যান বলছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী মেয়েদের ঋতুস্রাব বন্ধ করারও ব্যবস্থা করেন বাবা-মায়েরা ।

তারা যেন মা হতে না পারে তেমন পদক্ষেপও নেয়া হয়।

বিবিসি বাংলার শায়লা রুখসানা কথা বলেছিলেন একজন নারীর সাথে যাকে পোলিও আক্রান্ত হওয়ায় নয়মাস বয়স থেকে হুইল চেয়ার ব্যবহার করতে হচ্ছে। তার নাম সালমা মাহবুব।

সালমা মাহবুব বলছিলেন “প্রতিবন্ধী কিশোরীদের বেশিরভাগই চার দেয়ালের মধ্যে থাকে। সেরকম বন্ধুবান্ধব নেই তাদের। ঘরের বাইরে যাওয়া হয়না, পরিবারও মনে করে না তার লেখাপড়ার দরকার আছে। ফলে ওই মেয়ে ঋতুস্রাব সম্পর্কে জানতে পারে না”।

“আবার অনেক সমস্যার মুখেও পড়তে হয়, নানা কটু কথাও শুনতে হয়। অনেকে এটাও বলে এমনিতেই প্রতিবন্ধী তার মধ্যে আবার এসব হচ্ছে”- বলছিলেন সালমা।

প্রতি মাসে মেয়েদের এই ঋতুচক্র সামলানো মায়েদের জন্যও অনেক কঠিন বলে মন্তব্য করেন সালমা। তাঁর মতে, অনেক সময় মা-ও বুঝতে পারেন না কিভাবে তার প্রতিবন্ধী মেয়ের যত্ন করবেন তিনি।

“স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের বিষয় থাকে ঋতুস্রাবের সময়। প্রতিবন্ধী নারীদের ধরন অনুযায়ী বিশেষ ধরনের ন্যাপকিনেরও প্রয়োজন আছে আমাদের মনে হয়”।

সালমা মাহবুব বলছিলেন “একজন প্রতিবন্ধী কিশোরী যে একেবারে নিজে কিছু করতে পারে না, সেই সন্তানের মা অনেক কষ্ট পান এবং তিনি মনে করেন যে তার মেয়ের যদি ঋতুচক্র বন্ধ করে দেয়া যায় সেক্ষেত্রে ওর ওপর কোন নির্যাতন হলে সন্তানসম্ভবা হওয়ার সম্ভাবনা থাকবেনা। পাশাপাশি সমাজের চোখেও মেয়ে ছোট হবেনা। এই জায়গা থেকে এ কারণে অনেক সময় ঋতুস্রাব বন্ধ করা বা জরায়ু ফেলে দেয়ার চিন্তা করা হয়”।

“তবে অনেক সময় মনে করা হয় প্রতিবন্ধী নারীর এমন চক্রের কী দরকার ওতো মা হতে পারবে না। প্রতিবন্ধী নারীর যে বিয়ে হতে পারে সেও যে মা হতে পারে এটা কিন্তু অনেকে চিন্তা করতে পারে না। পরিবার থেকেই প্রতিবন্ধী কিশোরীর মনের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হয় যে তারতো কখনো বিয়ে হবে না”।সূত্র- বিবিসি

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft