আবগারি শুল্ক এক লাখ ১ টাকা থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ১৫০ টাকা এবং এক কোটি টাকা পর্যন্ত মোট তিনটি স্তরে আবগারি শুল্ক আদায় করার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার জাতীয় সংসদে বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে অর্থমন্ত্রীকে এ পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। ব্যাপক সমালোচনার মুখে তুলনামূলক স্বল্প আমানতের ক্ষেত্রে এ শুল্ক কমাচ্ছে সরকার।
এবারের বাজেট আলোচনার মূল বিষয়গুলো (আবগারি শুল্ক, ভ্যাট আইন, খাদ্য আমদানি শুল্ক) নিয়ে অর্থমন্ত্রীকে পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী, ২০ হাজার টাকা থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত কোনো আবগারি শুল্ক দেয়া লাগবে না। এক লাখ ১ টাকা থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত আবগারি শুল্ক আদায় করা হতো ৫০০ টাকা, প্রস্তাবিত বাজেটে তা ছিল ৮০০ টাকা। প্রধানমন্ত্রী সেটা কমিয়ে ১৫০ টাকা করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।
পাঁচ লাখ টাকা থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত আরো দুটি স্তরে ভাগ করে আবগারি শুল্ক আদায় করার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রস্তাবিত বাজেটে এক লাখ ১ টাকা থেকে এক কোটি পর্যন্ত একটি স্তরে ৮০০ টাকা আবগারি শুল্ক আদায়ের প্রস্তাব রেখেছিলেন অর্থমন্ত্রী।
বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে ২০ হাজার টাকা থেকেই আবগারি শুল্ক দিতে হতো। এখন এক লাখ টাকা পর্যন্ত আবগারি শুল্কমুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। মানুষ সেটা উল্টো বুঝেছে, অনেক অপপ্রচার হয়েছে।
ভ্যাট আইন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১২ সালে সবার সঙ্গে আলোচনা করে এ আইন করা হয়েছিল। অনেকে সেটা ভুলে গেছেন। ব্যবসায়ীরা এটাতে সাড়া দিচ্ছেন না। আগামী দুই বছর পুরোপুরি কার্যকর না করে এখন যেমন আছে, সেভাবে রাখার জন্য অর্থমন্ত্রীকে তিনি পরামর্শ দেন।
খাদ্য আমদানি শুল্কের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্য আবগারি শুল্ক ১০ শতাংশ করা হয়েছ। যত দিন চাল আমদানি প্রয়োজন, তত দিন এটাই থাকবে।সূত্র- আরটিএনএন