খবরবাড়ি ডেস্কঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে অপহৃত যুবক আমিনুল ইসলামকে (২৫) উদ্ধারসহ ডাকাতি, অপহরণ ও ছিনতাইসহ নানা অপরাধের সাথে জড়িত ষোল মামলার পলাতক আসামি শাহ আলমসহ (৩৫) তিন জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে সম্প্রতি উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের বেড়াডাঙ্গা গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বহিরাগত ডাকাতবেশী সংঘবদ্ধ ওই অপহরণকারীদল দিনাজপুল জেলার ঘোড়াঘাটা উপজেলা এলাকায় সড়ক ডাকাতি ও ছিনতাইয়ে ব্যর্থ অবশেষে একই উপজেলার খোদাদাতপুর দিঘিপাড়া গ্রামের আঃ গণি শেখের ছেলে পথচারী আমিনুলকে জিম্মি করে। পরে আমিনুলকে সাথে নিয়ে পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের বেড়াডাঙ্গা গ্রামে বসবাসকারী চিহ্নিত অপর ডাকাত সাগর মিয়ার বাড়ীতে তারা আশ্রয় নেয়। সেখানে আটক আমিনুলকে বেধরক মারপিট করে। এসময় অপরাধীচক্র জিম্মিদশা থেকে আমিনুলকে মুক্তি দিতে তার পরিবারের নিকট মোবাইল ফোনে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
ঘটনার রাতে সেহরীর পরপর মারপিটে আহত আমিনুলে চিৎকারে ডাকাত সাগরের বাড়ীর পার্শ্ববর্তী লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। অবস্থা বে-গতিক দেখে এসময় অজ্ঞাত দুই ডাকাত পালিয়ে যায়। অপরাধ কর্মের মূল হোতা গাইবান্ধা সদর উপজেলার কাঁচদহ গ্রামের দুর্ধর্ষ ডাকাত শাহ আলমকে স্থানীয়রা আটক করে থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ডাকাত শাহ আলম, আশ্রয়দাতা ডাকাত সাগর মিয়া (২৮) ও তার স্ত্রী রোমানা বেগমকে (২২) আটক করে থানায় নেয়। এসময় শাহ আলম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে পুলিশি নিরাপত্তায় দিনভর তার চিকিৎসা চলে। কিছুটা সুস্থ্য হলে তাকে থানায় নেয়া হয়।
পলাশবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল আলম বলেন, গ্রেফতারকৃত শাহ আলমের নামে শুধু গাইবান্ধা সদর থানা ছাড়াও সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, রাজশাহীর মোহনপুর ও জয়পুরহাট সদর থানাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, অপরহণ ও জিম্মিসহ ১৫টি মামলা রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটককৃতদের গাইবান্ধা কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পলাশবাড়ী থানায় পৃথক একটি মামলা দায়ের হয়েছে।