খবরবাড়ি ডেস্কঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে অপহরণ মামলার আসামী রিপন রাম দাস (২২) পুলিশের হাত থেকে পালাতে গিয়ে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকেলে পলাশবাড়ী উপজেলার জুনদহ বাজার নামক স্থানে রংপুর-বগুড়া মহাসড়কে। রিপন সুন্দরগঞ্জের হাতিয়া গ্রামের বাবলু রাম দাসের ছেলে।
থানা ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানায় অপহরণ মামলার আসামী রিপন হাতিয়া গ্রামের সুধীর চন্দ্র দাসের নাবালিকা মেয়ে কুমারী চম্পা রাণীকে (১৪) নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে সুধীর চন্দ্র দাস সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে অপহৃত চম্পাসহ অপহরণকারী রিপনকে সন্ধানের এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার বগুড়া জেলার কাহালু থানার টিএন্ডটি এলাকায় তাদের সন্ধান পায় পুলিশ। এসময় চম্পা ও আসামী রিপনকে পুলিশ আটক করে মাইক্রো যোগে সুন্দরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথিমধ্যে বৃহস্পতিবার বিকেলে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার জুনদহ বাজার নামক এলাকায় রংপুর-বগুড়া মহাসড়কে পৌছলে আসামী রিপন পুলিশকে প্রসাবের কথা বলে। এসআই রাজু ও অন্যান্য কনষ্টেবল আসামী রিপনকে ওই স্থানের মহাসড়কের পাশে নেমে পড়ে। আসামী রিপন এসময় সুযোগ বুঝে হাতকড়াসহ পালাতে গিয়ে মহাসড়কের চলন্ত একটি ট্রাকের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়।
বিষয়টি পলাশবাড়ী পুলিশকে অবগত করলে থানা অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল আলমের নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক নবীউল ইসলামসহ (তদন্ত ওসি) সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত রিপনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এসময় কর্তব্যরত ডা. সজিব সরকার তাকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অপহৃত কুমারী চম্পা রাণী পলাশবাড়ী থানা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। খবর পেয়ে তৎক্ষনিক গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।