এটিএম আফছার আলী, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় নানা শ^শুড়ের বাড়িতে নাতির জামাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এই মৃত্যুকে রহস্যজনক বলে দাবি করেছেন এলাকাবাসি।
বধুবার দিবাগত রাতে তারাপুর ইউনিয়নের চর খোর্দ্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়-ওই দিন রাতে নানা শ^শুড় জলি মন্ডলের বাড়ি পাশের্^ নাতি জামাই আব্দুল বাতেনের লাশ পরে থাকতে দেখ পায় এলাকাবাসি। বাতেন লাটশালা চরের আবুল খায়েরের ছেলে। খরব পেয়ে পুলিশ ঘটনস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশের সুরুতহাল রিপোর্ট করে। পুলিশ জানায় লাশের শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এলাকাবাসির ধারণা তাকে কে বা কাহারা হত্যা করে ওই স্থানে রেখে গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল হতে লাইলনের দড়ি এবং একটি প্লাস্টিকের বদনা উদ্ধার করে। নানা শ^শুড়ের দাবি সে আত্মহত্যা করেছে। দীর্ঘ আট বছর পূর্বে চর তারাপুর গ্রামে চৌরালীর কন্যা চৌমতি বেগমের সাথে বাতেনের বিয়ে হয়। তাদের দুইটি সন্তান রয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে সে নানাবিধ রোগে ভুগছিল। বাতেনের শারীরিক অসুস্থ্যতার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করে আসছিলেন শ^শুড় বাড়ির লোকজন। বাতেনের পরিবারের দাবি অসুস্থ্য জামাইকে তার শ^শুড় বাড়ির লোকজন হত্যা করেছে। তার স্ত্রী চৌমতি বেগম জানান- ঈদে নানা শ^শুড়ের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যাই। রাতে মূত্রচাপে বদনা নিয়ে বাহিরে যায় বাতেন। পরে স্থানীয়দের চিৎকারের বাহিরে গিয়ে দেখি তার লাশ পড়ে রয়েছে। পুলিশ লাশের ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। থানার ওসি আতিয়ার রহমান জানান- এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা নয়।