
চাঁদাবাজি এবং ভাঙচুরের অভিযোগে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) আট জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী মো. ইস্পাহান মির্জা।
বুধবার ঢাকা মহানগর আদালতে মামলাটি করেন উত্তর বাড্ডার বাসিন্দা নুরুননাহার নাছিমা বেগম।
আসামিরা হলেন- বাড্ডা থানার ওসি এমএ জলিল, এসআই শহীদ, এএসআই দ্বিন ইসলাম ও মো. আব্দুর রহিম, জাহানারা রশিদ রূপা, রোকেয়া রশিদ, আতাউর রহমান কায়সার এবং মো. শুকুর আলী।
এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো ৩ জন কনস্টেবলসহ সিভিল পোশাকের আরো ৫/৭ জনকে মামলার আসামি করা হয়েছে।
রবিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. মাযহারুল ইসলাম বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করার দায়িত্ব দেন আদালত।
মামলার বিবরণে বলা হয়, গত ১০ জুন ওসির আদেশে আসামিরা বাদীর বাসায় এসে তার ছেলেকে আসামি জাহানারা রশিদের বাসায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে বলে। বিদ্যুৎ সংযোগ না দেওয়ায় আসামিরা তার ছেলেকে হাতুড়ি দিয়ে মারধর করে, বাসায় ভাঙচুর করে ২০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার এবং জমির কাগজপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। এ সময় আসামিরা বাদীর ছেলেকে হত্যার হুমকিও দেয়।
আরো উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৬ মে আসামি এমএ জলিলের আদেশে অন্য আসামিরা বাদীর বাসার ভাড়াটিয়াকে বের করে ফ্লাটে তালা দিয়ে চাবি নিয়ে নেয়। পরে চাবি ফেরত চাইলে বাড্ডা থানার এএসআই আব্দুর রহিম দুই লাখ টাকা দাবি করে সরাসরি থানায় যোগাযোগ করতে বলেন। না দিলে বিপদে পড়ার হুমকি দেন তিনি।সূত্র- আরটিএনএন