
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। এই জালিম সরকারকে বিতাড়ন করা শুধু বিএনপির একার দায়িত্ব নয়। এজন্য সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
শনিবার রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারের নবরাত্রি হলে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের সম্মানে ইফতার মাহফিলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এসব বলেন।
সরকারের প্রতি আহবান রেখে খালেদা জিয়া বলেন, আমি বলব- এই রমজান মাসে জুলুম নির্যাতন বন্ধ করুন, অন্যায় বন্ধ করুন। দেশে গণতন্ত্রকে ফিরে আসার সুযোগ দিন। আমরা মনে করি, গণতন্ত্র তখনই ফিরে আসবে, যখন দেশে একটা সত্যিকার অর্থে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং সকলের অংশ গ্রহনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির উদ্দেশে তিনি বলেন, এই সরকার আপনাদের কাছে যা কিছু আবদার করবে, আপনারা তা বাস্তবায়ন করবেন না। আপনারা জনগণের মতামত নেবেন, সব রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করে তবেই যেটা সকলে মতামত দেবে, সেটার ভিত্তিতে আপনারা নির্বাচন কমিশন পরিচালনা করবেন। আমরা দেশে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন চাই এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ বুঝতে পারবে, তাদের পায়ের নিচে মাটি আছে কি-না, জনগণের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক আছে কি-না সেটা প্রমাণ হবে।
বেগম খালেদা জিয়া প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করে বলেন, করের বোঝার কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে। দেশের মানুষের প্রতিনিয়ত এতো সমস্যা, তার মধ্যে একটা বাজেট দিয়েছে, তাতে যেভাবে কর বসানো হয়েছে। এতে জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। এই বাজেটের ফলে দুর্নীতি করার সুযোগ হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গ্যাসের দাম আবার বাড়বে। বুঝতে পারছেন, সরকার কী করতে চায়? এই সরকার হলো জনগণ বিরোধী সরকার। তাদের সাথে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয় নাই। সেজন্য জনগণের সমস্যা, জনগণের কষ্ট তাদের চোখে পড়ে না। খালেদা জিয়া সরকারকে গ্যাসের দাম না বাড়ানোর আহবান জানান।
তার দেয়া ‘ভিশন-২০৩০’ এর কথা উল্লেখ করে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, তা বাস্তবায়ন হলে দেশে আগামীতে সমস্যা থাকবে না।
দেশের অর্থ পাচারের অভিযোগ করে তিনি বলেন, যেভাবে টাকা পাচার হচ্ছে, সম্পদ পাচার হচ্ছে, দুর্নীতি হচ্ছে, তার সাথে জড়িত সরকারের লোকজন। যারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
ইফতার মাহফিলে খালেদা জিয়ার সাথে মঞ্চে ছিলেন- দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়া ইফতারে অংশ নেন ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, হাফিজউদ্দিন আহমেদ, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, খন্দকার মাহবুব হোসেন, আবদুল আউয়াল মিন্টু, মীর মো. নাছির, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আযম খান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, মিজানুর রহমান মিনু।
উপদেষ্টাদের মধ্যে- আমানউল্লাহ আমান, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, আতাউর রহমান ঢালী, অধ্যাপক আবদুল মান্নান, আবদুল কাইয়ুম, কবীর মুরাদ, সঞ্জীব চৌধুরী, অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, ডা. সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, ইসমাঈল জবিউল্লাহ, জাসাস সভাপতি ড. মামুন আহমেদ, আ ন হ আক্তার হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে- হারুনার রশীদ, উকিল আবদুস সাত্তার, মাহবুবউদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, ফজলুল হক মিলন, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, আমিনুল হক, বিলকিস জাহান শিরিন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, ডা. ফাওয়াজ শুভ, আব্দুস সালাম আজাদসহ বহু নেতাকর্মী।সূত্র-আরটিএনএন