
আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শো-রুম থেকে সাড়ে ১৩ মণ সোনা আনুষ্ঠানিকভাবে জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর।
বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় জব্দ করা এসব সোনা ও হীরা শুল্ক গুদামের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান। বিবিসির খবর।
গত ১৪ ও ১৫মে শুল্ক গোয়েন্দারা আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শো-রুমে অভিযান চালিয়ে সাড়ে ১৩ মন সোনা ও ৪২৭ গ্রাম হীরা সাময়িকভাবে আটক করেছিলো।
পরে তিনবার শুনানির সুযোগ পেয়েও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি আপন জুয়েলার্স।
মিস্টার খান বিবিসিকে বলেন দুবার তারা (আপন) শুনানিতে এসেছেন এবং লিখিত তথ্য দিয়েছেন কিন্তু তার সাথে মজুদ সোনা ও হীরার মিল পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, ‘এখানে দেখতে পাচ্ছি শুল্ক আইন সরাসরি ভঙ্গ হয়েছে ও চোরাচালানের প্রাথমিক অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে’।
সোনাগুলো জব্দ করে আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা হচ্ছে।
এরপর বাকী তদন্ত ও মামলা এবং অন্য পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেন জানান মিস্টার খান।
আজ সকাল থেকেই সংশ্লিষ্ট সবার উপস্থিতিতে শো-রুম গুলোতে জব্দ সোনা ও হীরা তালিকা তৈরি করা হয়।
আপন জুয়োলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ বনানীর আলোচিত ছাত্রী ধর্ষনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আটক সাফাত আহমেদের পিতা।