বৃষ্টির জন্য এই ম্যাচ দেরিতে শুরু হয়। ভেজা আউটফিল্ড এবং আবহাওয়ার সুযোগ নেওয়ার জন্য টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কেকেআর অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর। কিন্তু সুনীল নারিন, উমেশ যাদবরা অধিনায়কের এই সিদ্ধান্তের যোগ্য মর্যাদা দিতে পারেননি। ফলে ৫ উইকেটে ১৭৩ রান করে মুম্বাই। সৌরভ তিওয়ারি ৫২ এবং অম্বাতি রাইডু ৬৩ রান করেন। দুই উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট।
প্লে-অফে যাওয়া নিশ্চিত করতে হলে এই ম্যাচে জিততেই হত কেকেআরকে। কিন্তু বোলারদের পর ব্যাটসম্যানরাও ব্যর্থ। সুনীল নারিন (০) শুরুতেই ফিরে যান। ক্রিস লিন (২৬), গম্ভীর (২১), মণীশ পাণ্ডেরা (৩৩) সেট হয়ে গিয়েও বড় রান করতে পারেননি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য কেকেআর-এর দরকার ছিল ১৪ রান। উমেশ যাদব, ট্রেন্ট বোল্টরা সেই রান করতে পারেননি। ৮ উইকেটে ১৬৪ রান করে কেকেআর। এর ফলে ১৪ ম্যাচে ১০ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রোহিত শর্মার মুম্বাই।
এদিন হারের ফলে ১৪ ম্যাচে কেকেআরের পয়েন্ট দাঁড়াল ১৬। মুম্বাই ও হায়দ্রাবাদ আগেই প্লে অফে উঠে গিয়েছে। রবিবারের ম্যাচ রয়েছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব বনাম রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টসের মধ্যে। পাঞ্জাব জিতলে তখন রান রেটের প্রসঙ্গ আসবে। রান রেট কম থাকলে কলকাতা প্রথম চার থেকে বেরিয়ে যাবে। আর পুনে জিতলে সরাসরি শেষ চারে চলে যাবে গৌতম গম্ভীরের দল।
তবে নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় কলকাতার প্লে-অফে যাওয়া এক প্রকার নিশ্চিত।আইপিএলের নিয়মে শীর্ষ দুই দল ফাইনালের জন্য দুইবার সুযোগ পাবে,কিন্তু গতকালের সহজ ম্যাচ হেরে সেই আশা শেষ। সেরা দুইয়ে থাকলে হারলেও ২য় বার সুযোগ পেত কেকেআর, কিন্তু এবার সেটা পাচ্ছেনা তারা,তার পরও শেষ চারে আছে এটাই কম কিসে। তবে হায়দারাবাদ ঠিকই সেই সুযোগ লুফে নিয়েছে। পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে আছেন তারা।