এটিএম আফছার আলী, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে পুরোদমে চলছে ধান কাটামাড়াই ও খড় শুকানোর কাজ। বাড়ির উঠানে জায়গা না হওয়ায় স্কুল মাঠ ও রাস্তা-ঘাট দখল করে কৃষক কৃষাণীরা নবান্ন উৎসবে মেতে উঠেছে। যার কারণে শিক্ষার্থী ও পথচারীগণ ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করছে।
সরেজমিন সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ফিরে দেখা গেছে, প্রতিটি সরকারি, বে-সরকারি বিভিন্ন স্তরের স্কুল মাঠ এবং পাকা-আধাপাকা ও কাচা রাস্তা-ঘাট গুলোর উপর ধান কাটা মাড়াই ও খড় শুকানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। রাস্তার দু-ধারে খড়ের ডিপ এবং মাঝ খানে ধান শুকানোর কাজ চলছে। অপর দিকে স্কুল মাঠ গুলোতে ধান মাড়াইয়ের জন্য মেশিন বসিয়ে দিনরাত ধান মাড়াই করা হচ্ছে। পাশাপাশি খড়ের অসংখ্য ডিপ দেয়া হয়েছে মাঠের বিভিন্ন স্থানে। এসবের কারণে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে রিক্সা, ভ্যান, মোটর সাইকেল, অটোবাইক ও স্যালো ইঞ্জিন চালিত নছিমন-করিমন এবং সাধারণ পথচারীগণ চলাফেরা করছে। খড় ও শুকানোর কাজে বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট দখল হয়ে যাওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-খাট সড়ক দুর্ঘটনা। এদিকে স্কুল মাঠে ধান মাড়াই, শুকানো এবং খড়ের ডিপ থাকায় শিক্ষার্থীরা খেলা-ধুলা ও চলাফেরা করতে পারছে না। ধান ও খড়ের ধুলা বালি শিক্ষার্থী ও পথচারীদের নানাবিধ সমস্যার সৃস্টি করেছে। নাম প্রকাশ না করে শত্বে একাধিক প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ জানান, আমরা এলাকাবাসিকে বহুবার বিদ্যালয় মাঠে ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর নিষেধ করলেও তারা মানছে না। এ নিয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিসহ শিক্ষা অফিসারগণকে অবহিত করা হলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। অপর দিকে উপজেলার সমস্ত রাস্তা-ঘাটে ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর কাজে ব্যবহার হওয়ার কারণে রিক্সা ও ভ্যান চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। এ নিয়ে প্রতিনিয়ত ভ্যান চালক ও যাত্রীদের মাঝে বাক-বিতন্ডা লেগেই চলছে। ভ্যান চালক শহিদুল ইসলাম জানান, খড়ের উপর দিয়ে ভ্যান রিক্সা চালানো অত্যন্ত কষ্টকর। যার কারণে নিদিষ্ট ভাড়ার চেয়ে ১০ হতে ১৫ টাকা বেশি নেয়া হচ্ছে। এ জন্য যাত্রীদের সাথে বাক-বিতন্ডা লাগছে। খড়ের উপর দিয়ে মোটর সাইকেল চালানো অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ হয়ে দাড়িয়েছে। কারণ খড়ের উপর গাড়ির গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। মোটর সাইকেল চালক মোজাফ্ফর হোসেন জানান, খড়ের উপর দিয়ে মোটর সাইকেল চালানোর সময় ব্রেক করলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়ে যায়। সে কারণে খড়ের উপর দিয়ে গাড়ি চালানো সম্ভব হচ্ছে না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম গোলাম কিবরিয়া জানান, ভরা মৌসুমে এই অবস্থা হয়ে থাকে। আমরা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি।