
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নে অবস্থিত ইমামগঞ্জ ফাজিল মাদ্রাসায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে ডি.এম মাসুদার রহমান ২০১০ সালের ৬ ডিসেম্বর থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এদিকে মাদ্রাসার সভাপতি লোকমান সরকার অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে আব্দুল মান্নান মিয়া নামে একজনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করেন।
এব্যাপারে উপ-পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রংপুর অঞ্চলসহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে দাখিলকৃত লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ৬ ফেব্র“য়ারি ডিএম মাসুদার রহমানকে অবহিত এবং কোন প্রকার কারণ ছাড়াই নিয়ম বহির্ভুতভাবে সভাপতি মনগড়াভাবে তাকে উক্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করে আব্দুল মান্নান মিয়াকে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করেন। তদুপরি মাসুদার রহমানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বকালিন সময়ে ২০১৫ সালের ২০ ডিসেম্বর নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ি ওই সালের ২৫ ডিসেম্বর গভর্ণিংবডির সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রভাষক (আরবি) দুইজন, প্রভাষক (ইংরেজী) একজন, প্রভাষক (রাষ্ট্র বিজ্ঞান) একজন, সহকারি শিক্ষক (সমাজ বিজ্ঞান) একজন নিয়োগ প্রদান করা হয়। ওই নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকরা যথারীতি ২০১৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর অত্র মাদ্রাসায় যোগদান করে এবং ২০১৬ সালের ২১ এপ্রিল তাদের এমপিওভূক্তির জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু এসব ধামাচাপা দিয়ে সভাপতি লোকমান সরকার আবারও মাসুদার রহমানের স্বাক্ষর জাল করে নতুনভাবে প্রভাষক (আরবি) দুইজন ও সহকারি শিক্ষক (সমাজ বিজ্ঞান) একজন নিয়োগ প্রদান করে এমপিওভূক্তির জন্য আবেদন করে। এরমধ্যে দ্বিতীয় দফায় আরবি প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া জিয়াউর রহমান ১২তম ব্যাচে নিবন্ধন পেয়েছেন বিধায় সে নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য নয়। এছাড়া ছালেহা খাতুন প্রভাষক (আরবি), আশরাফুন্নাহার সহকারি শিক্ষক (সমাজ বিজ্ঞান) ও সহকারি অধ্যাপকের স্কেল দাবিকৃত প্রভাষকের কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতার অভাব রয়েছে। যা শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শন কর্তৃক আপত্তিকৃত।