
সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া সিকদারসহ ৯ জনের নামে এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ঝালকাঠির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রুবাইয়া আমেনা আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টায় শুনানী শেষে কাঁঠালিয়া থানার ওসিকে এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দেন। নির্যাতনের শিকার কাঁঠালিয়ার সাংবাদিক এইচ এম বাদল বাদী হয়ে গত ২১ মে এ মামলা দায়ের করেছিলেন। আদালত ওই দিন বাদলের চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র জমাদান সাপেক্ষে মঙ্গলবার শুনানীর জন্য ধার্য্য রেখেছিলেন।
মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান ছাড়া অপর আসামীরা হলেন, কাঁঠালিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সহযোগী মনির হোসেন, শহিদুল ইসলাম, সেলিম হাওলাদার, মো. আনিচ, মনির খান, এনাম কাজী, মিলন মাস্টার ও মিলন সিকদার। এরা সবাই উপজেলা আওয়ামী লীগের কর্মী।
মামলা আইনজীবী মানিক আচার্য জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ঢাকার বনানীর রেইনট্রি হোটেলের মালিক ঝালকাঠি-১ আসনের সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনকে নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ফেসবুকে শেয়ার হয়। ওই সংবাদে গত ১৬ মে লাইক দেওয়ার অভিযোগে স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক বরিশাল প্রতিদিনের কাঁঠালিয়া উপজেলা প্রতিনিধি এইচ এম বাদলকে তুলে নিয়ে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া সিকদার ও তাঁর লোকজন। রাতেই তাকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। ১৬ মে থেকে বাদল ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কাঁঠালিয়া থানার ওসি এম এম শওকত আনোয়ার জানান, আদালতের নির্দেশ এখনো আমাদের হাতে এসে পৌঁছেনি। আদেশ পেলে নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।সূত্র- বাসস