
খবরবাড়ি ডেস্কঃ মূহুর্ত্বের মধ্যে মুষলধারায় হঠাৎ বৃষ্টির সাথে প্রবল বেগে দমকা হাওয়ার ন্যায় এলোমেলো বাতাসের ঝটায় সবকিছু যেন দুমরে-মুচরে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়ে। এ সময় বৈশাখি তান্ডবের আশঙ্কায় সাধারণরা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। বাতাসের ভয়াবহতায় উপজেলা সদর ছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়নের নানা স্হানে গাছ-পালা ভেঙ্গে পড়েছে ।তবে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায় ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ তেমন নয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ক্ষয়-ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ নিরুপন করা সম্ভব হয়নি।
এ সময় স্হানীয় ছাড়াও সদরে চলাচলরত পথচারিসহ বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রী সাধারনরা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে দিকবিদিক ছুটাছুটি করতে থাকে। এর পর পরই সদর জনশূন্য হয়ে পড়ে। আশ্রয়ের খোঁজে এদিক-সেদিক দৃষ্টি ফেরাতেই ওই বৃষ্টিতে পথচারিদের শরীর ভিঁজে চুপসে যায়।

প্রায় ২২ মিনিট ব্যাপি অবিরাম অঝোর ধারায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকে। সময়ের ধারাবাহিকতায় ঝড়ের প্রচন্ডতা কমলেও হালকা বেগে বৃষ্টি ঝড়ছিল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সদরের অদূরে মহেশপুর নামক স্হানে মোহাম্মদ আলীর বাড়ী ঘেঁষে বিশাল একটি গাছ ভেঙ্গে সড়কের উপর উপড়ে পড়ে।
ফলে; মহাসড়কের উভয় মুখি চলাচলরত বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে যায়। সন্ধা ৭টা থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত ১০টা প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় গোটা পলাশবাড়ী এখন অন্ধকারে নিমজ্জিত। মহাসড়কের এ স্হান থেকে পলাশবাড়ী সদরের দুরুত্ব ২ কি.মি.এবং পার্শ্ববর্তি সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাটের দুরুত্ব ৬কি.মি.।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জনবল ওই স্হানে দ্রুত গাছ শড়ানোর কাজ করছিল বলে জানা যায়।