
এটিএম আফছার আলী, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ আরবি মহরম মাসে গ্রাম-গঞ্জের আনাচে-কানাচে ঢোলে শব্দ পাওয়া যায়। তখনেই মনে হয় লাঠি খেলা, জারি গান শুরু হবে। আজ ২০ বছর আগে গোটা মহরম মাসে জাকজমক পূর্ণভাবে জারি গান ও লাঠি খেলা চলত। দিনের পর দিন আধুনিকতার ছোয়ায় বিলুপ্ত প্রায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য লাঠি খেলা। এখনো লাঠিয়াল রয়েছে কিন্তু পৃষ্টপোষকতার অভাবে হারিয়ে গেছে জারি গান-সারি গান ও লাঠি খেলা। ইদানিং আনুষ্ঠানিক ভাবে পহেলা বৈশাখ বরণ শুরু হওয়ায় গ্রাম বাংলা ঐতিহ্যকে ফিরে আনা হচ্ছে। বৈশাখ বরণে বর্ণাঢ্য সাজে সাজানো র্যালিতে শোভা পাচ্ছে গরুর গাড়ি, ঘোড়া গাড়ি, লাঠি খেলা, জারি গান, সারি গান, সাপ খেলা, পালা গান, পালকি, গীতসহ সনাতন পদ্ধতির বিভিন্ন রেওয়াজ। কথা সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের লাঠি খেলোওয়ার সাহাব মিয়া সাথে। তিনি জানান-আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে বিভিন্ন প্রযুক্তি হাতে নাগালে আসায় হারিয়ে গেছে পুরাতনসহ কিছু। তাছাড়া কিছুটা ধর্মীয় গোরামির কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। তবে বর্তমান প্রজন্মকে জানিয়ে দেয়ার জন্য গ্রাম বাংলা ঐতিহ্যকে সরকারি পৃষ্টপোষকতায় ফিরে আনা উচিত। উপজেলা নবীন-প্রবীণ লোকজ সংঘের সভাপতি- গীতি কবি একরামুল হক লাল মিয়া বাউল জানান-সংস্কৃতিকে লাল করার দায়িত্ব নিতে হবে সরকারকে। তা না হলে আগামী দিনের প্রজন্ম অতি ও ঐতিহ্যকে ভুলে যাবে। তিনি আরও বলেন-অতিত ঐতিহ্য স্মৃতিকে জাদু ঘরে রাখা হয়েছে। এতে করে গ্রাম-গঞ্জে সাধারণ মানুষজন তা উপভোগ করতে পারছেন।