1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:১১ পূর্বাহ্ন
৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন আজ পলাশবাড়ীতে আলহাজ্ব ফজলুল হক মন্ডলের ইন্তেকাল : দাফন সম্পন্ন গভীর শোক ও সমবেদনা গাইবান্ধার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে গণমাধ্যমকর্মীদের পরিচিতি সভা গাইবান্ধায় নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে জেলা জামায়াতে ইসলামীর সৌজন্য সাক্ষাত ফারিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতিকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে পলাশবাড়ীতে মানববন্ধন গাইবান্ধা জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে কমিউনিটি সভা পলাশবাড়ীতে কাকতালীয় ইঞ্জিন বিস্ফোরণ ঘটে প্রাইভেট কার ভস্মীভূত সৌভাগ্যক্রমে কোনো অঘটন ঘটেনি পলাশবাড়ীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবস পালনের প্রস্তুতিমূলক এবং আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ১০ম গ্রেডের দাবীতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন হাসপাতালের বেড থেকেই লাইভে সংবাদ: পেশার প্রতি দায়িত্ববোধে আলোচনায় সাংবাদিক রবিউল ইসলাম

বাংলাদেশ থেকেই একদিন বিশ্বমানের সাঁতারু উঠে আসবে : প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট হয়েছে : বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০১৭
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, বাংলাদেশের সাঁতারুরা সঠিক প্রশিক্ষণ এবং অনুশীলনের মাধ্যমে একদিন বিশ্বমানের প্রতিযোগী হিসেবে গড়ে উঠবে।
প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদর দপ্তরের সুইমিংপুল কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ’ শীর্ষক ‘সুইমার ট্যালেন্ট হান্ট’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী ‘সুইমার ট্যালেন্ট হান্ট’ অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত রাউন্ডের প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন এবং বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
নদীমাতৃক বাংলাদেশে সাঁতার একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সাঁতার প্রতিযোগিতাও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। তারই নিদর্শন আজকের এ প্রতিযোগিতায় ক্ষুদে সাঁতারুদের মেধার প্রতিফলন।
তাঁর সরকার দেশের ক্রীড়া উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে আমাদের ক্ষুদে সাঁতারুদের, যে নৈপুণ্য দেখলাম তাতে আমি অত্যন্ত আশাবাদী। এখান থেকেই একদিন আমাদের বিশ্বমানের প্রতিযোগী উঠে আসবে।’
তিনি বলেন, এক সময় বাংলাদেশেরই মানুষ ব্রজেন দাস ইংলিশ চ্যানেল পার হয়েছিলেন। কাজেই আমরা যে পারি সেটা আসলে আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি।
সরকার প্রধান বলেন, আমি এইটুকু চাই বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের জনগণ বিশ্বসভায় একটা মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হউক। তাই সর্বক্ষেত্রেই আমাদের ছেলে-মেয়েদের যে মেধা আছে সেই মেধা বিকাশের সুযোগ করে দিতে হবে।
নৌবাহিনীর প্রধান এবং বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনের সভাপতি এডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ ও সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এমবি সাইফ মোল্লা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ আহসান রাসেলসহ মন্ত্রী পরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনী প্রধানগণসহ উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা এবং সশস্ত্রবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন বয়সভিত্তিক শ্রেষ্ঠ ৮ জন ক্রীড়াবিদের প্রত্যেককে খেলাধূলায় আরো উন্নতি সাধনের জন্য ৫ লাখ টাকা করে চেক প্রদান করেন।
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রতিভাবান সাঁতারুদের খুঁজে বের করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশেনের উদ্যোগে ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সহযোগিতায় ২০১৬ সালের ১৯ মে ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
প্রথম পর্বে সমগ্র বাংলাদেশের ৬৪ জেলার ও ৪৮৯টি উপজেলা হতে ২৫ হাজার সাতারু অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে দ্বিতীয় পর্বের জন্য ১২৭৫ জন নির্বাচিত হয়। পরবর্তীতে ১২৭৫ জনকে ঢাকায় এনে পুনরায় তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ১৬০ জনকে নির্বাচিত করা হয়। শেষ পর্বে বাংলাদেশে সুইমিং ফেডারেশনের তত্ত্বাবধানে এই সাঁতারুদের ৩ মাস নিবিড় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এদের মধ্যে থেকে নির্বাচিত হয় সেরা ৬০ জন সাঁতারু।
এই কৃতী সাঁতারুদের জন্য লেখাপড়াসহ দেশে বিদেশে ৩ বছর ব্যাপী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে প্রথমবারের মত আয়োজিত ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ’ শীর্ষক সুইমার ট্যালেন্ট হান্ট-এ নতুন প্রজন্মের দক্ষ সাঁতারুদের সমাবেশ ঘটেছে।
তিনি বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের সাঁতারুরা অংশগ্রহণ করে পদক নিয়ে আসছেন এবং দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে চলেছেন। সম্প্রতি ভারতে অনুষ্ঠিত ১২তম এস এ গেমস-এ মাহফুজা খাতুন সাঁতারে মহিলাদের ১০০ মিটার ও ৫০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে ২টি স্বর্ণ পদক জিতেছেন। এছাড়াও এই গেমস-এ আরও মোট ১৭টি পদক অর্জন করে আমাদের খেলোয়াড়রা বিদেশের মাটিতে দেশের সুনাম বৃদ্ধি করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত বছর অক্টোবর মাসে শ্রীলংকায় অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশীপ প্রতিযোগিতায় আমাদের সাঁতারুরা ২টি স্বর্ণ, ২টি রৌপ্যসহ ৯টি পদক পাওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন।
খেলাধূলার প্রসারে তাঁর সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের সকল উপজেলায় স্টেডিয়াম স্থাপনসহ জেলা পর্যায়ে স্টেডিয়াম উন্নয়ন ও সংস্কার করছি। এছাড়া বিভাগীয় শহরগুলোতে সুইমিংপুল নির্মাণসহ বিশেষায়িত ও আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম ও ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রতিটি উপজেলায় তাঁর সরকার মিনি স্টেডিয়াম করে দিচ্ছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর নিজের দাদা শেখ লুৎফর রহমান খেলাধূলা করতেন এবং তাঁদের পরিবারটাই বিশেষ ক্রীড়ানুরাগী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের পরিবারটাই খেলাধূলার সঙ্গে জড়িত ছিল। কামাল, জামাল এবং তাঁদের স্ত্রী রোজী এবং সুলতানা কামাল সকলেই খেলাধূলার সঙ্গে যুক্ত ছিল, আমাদের দুর্ভাগ্য যে তাঁরা আজ আমাদের মাঝে নেই। ১৫ই আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হত্যা করা হয় আমার মা, কামাল, জামাল ও রাসেলকে। জামাল সেনাবাহিনীর অফিসার ছিলো, রোজী এবং সুলতানা কামাল স্পোর্টসম্যান ছিলো এবং সুলতানা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লু ছিল। কিন্তু পঁচাত্তরে আমি তাঁদের সবাইকে হারিয়েছি।
শেখ হাসিনা এ সময় স্কুল পর্যায় থেকে ছেলে-মেয়েদের ক্রীড়ামোদী করে গড়ে তুলতে তাঁর সরকারের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি গোল্ডকাপ এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা গোল্ডকাপ ফুটবল টুনার্মেন্ট আয়োজনের প্রসংগ তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই যে আমরা তৃণমূল পর্যায় থেকে প্রতিযোগিতাগুলোর আয়োজন করছি তাতে আমাদের খেলাধূলায় উৎকর্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই উৎকর্ষতা বৃদ্ধির জন্য ছোটবেলা থেকেই প্রশিক্ষণ প্রদান জরুরী। একই সঙ্গে তাঁর সরকার দেশজ খেলাধূলাকে গুরুত্ব দিয়ে সেগুলো চর্চার ও ব্যবস্থা করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, খেলাধূলার মধ্যদিয়ে আমি মনে করি একদিকে যেমন আমাদের ছেলে-মেয়েরা শারিরীকভাবে সুগঠিত হবে এবং অন্যদিকে মনের দিক থেকে উদার হবে, মানসিক শক্তি পাবে। তাদের ভেতরে আত্মবিশ্বাস জেগে উঠবে।
এ সময় লেখাপড়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, লেখাপড়া শিখতে হবে, লেখাপড়ার সাথে সাথে খেলাধূলাকেও আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে থাকি। কাজেই এই খেলাধূলার মধ্য দিয়েই আমাদের শিশুদের মেধা বিকশিত হবার সুযোগ পাবে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর মধ্যে লুক্কায়িত মেধাকে খুঁজে বের করতে তাঁর সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের প্রতিবন্ধীদের বিভিন্ন সাফল্য তুলে ধরেন।
বক্তৃতার শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, নজরুল তরুণ সমাজকে অনাচার, অবিচার এবং কূপম-কতার অন্ধকার ভেদ করে সামনে এগিয়ে যেতে এবং অজেয়কে জয় করতে পথ দেখিয়েছেন।
জাতির পিতার কাজী নজরুল ইসলামকে ভালবাসার কথা স্মরণ করে বলেন, আমাদের যে ঐক্যের প্রতীক ‘জয় বাংলা শ্লোগানটি সেটির তাঁরই একটি কবিতা থেকে নেয়া।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী গতরাতে নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে পরাজিত করে বাংলাদেশের ওয়ানডে র‌্যাংকিং এ ৬ নম্বরে উঠে আসায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় ও সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশ একদিন ক্রিকেটে বিশ্বকাপও জয় করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।সূত্র- বাসস

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft