গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার নদ-নদী বেষ্টিত ফুলছড়ি উপজেলার একটি গ্রামের নাম পূর্ব কঞ্চিপাড়া। ওই গ্রামের ভূমি দস্যুতা ও নৈরাজ্য ঠেকাতে ফুলছড়ি থানায় মামলা হলেও চিহ্নিত আসামীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকার সুযোগ পাচ্ছে। পুলিশের নাকের ডগায় তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। গোপন শখ্যতা গড়ে ওঠায় পুলিশ নিস্ক্রীয়। ধর পাকড় নেই। এমন অভিযোগ জানিয়েছেন পূর্ব কঞ্চিপাড়া গ্রামের কৃষক মোঃ মাহবুবর রহমান (৪৮)। তিনি দাবি করেন তার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ৫৬ শতক জমিতে ভুট্টো আবাদের ৭৫ মণ ফসল চুরি করে কর্তনের প্রতিবাদে গত ১৫ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৩ ঘটিকায় বাঁধা প্রদানের এক পর্যায়ে চিহ্নিত ভূমি দস্যুরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নিজ পরিবারের লোকজনের উপর হামলা চালায়। এলোপাথারিভাবে মার-ডাং শুরু করে। এতে তিনজন আহত হয়। আহতদের মধ্যে নিজ স্ত্রী মোছাঃ ওমেদা বেগম শ্লীলতাহানির শিকার হয়। তার বস্ত্র হরণ পূর্বক শ্বাস রোধ করে হত্যার চেষ্ঠাও চলে। ঘটনার সাক্ষী ও পথচারিরাও খুন, জখমের ভয়ভীতিতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এ সুযোগে ভূমি দস্যূরা ৫৫ হাজার টাকা মূল্যে ভুট্টা ফসল চুরি করে নিয়ে যায়। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ভূমি দস্যূরা নালিশী সম্পত্তির শরিক ওয়ারিশ দাবি করে ইতোপূর্বে ফুলছড়ি সহকারী জজের আদালতে একটি মোকদ্দমা দায়ের করেন (যার নং ৫৬/০৭ অন্য)। কিন্তু বিজ্ঞ আদালতের রায়ে তা দোতরফা সূত্রে খারিজ আদেশ পাওয়া যায়। এই রায় দলিলিক প্রমাণের ভিত্তিতে বিবাদীর পক্ষে ঘোষিত হলেও উক্ত আদেশ উপেক্ষা করে সংশ্লিষ্ট বাদি পক্ষ ভূমি দস্যূদের ছত্রছাঁয়ায় নালিশী তফশীলভূক্ত জমি বেদখলের পায়তারায় লিপ্ত এবং বিভিন্ন নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি অব্যাহত রেখেছে। এমন পরিস্থিতিতে পৈত্রিক সম্পত্তি বেহাত হওয়ার উপক্রম। নিরাপত্তার অভাবে আমরা নিজ ভূমে এখন পরবাসী হিসেবে আতঙ্কে আছি। যা নিয়ে একাধিক গ্রাম্য সালিশেও কোন সুরাহা না হওয়ায় অবশেষে ফুলছড়ি থানায় গত ১ মে ২০১৭ইং তারিখে একটি এজাহার লিপিবদ্ধ করতে গিয়েও বিড়ম্বনার শিকার হই। তবে উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতির হস্তক্ষেপে তা কার্যকর হলেও আসামীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকার সুযোগ পাচ্ছে।
এখানে এজাহারকারী বাদি মোঃ মাহবুবর রহমান উল্লেখ করেন, লিপিবদ্ধ এজাহারের তালিকায় মোঃ ছবির উদ্দিনসহ ৮ ভূমি দস্যুর নাম ঠিকানায় দন্ড বিধি আইনের ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩৭৯/৩৫৪/৫০৬ ধারায় অভিযোগটি রেকর্ডভূক্ত হলেও থানা পুলিশের কোন তৎপরতা নেই (যার নং ০১/(৪৬)। তাই তিনি এ ব্যাপারে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজসহ পুলিশের উর্ধ্বতন দপ্তরের আশু হস্তেক্ষেপ চেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের দাবি তুলে ধরেন।
এ দিকে ফুলছড়ি থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল খালেকের মতামতে জানা যায়, আসামীরা আত্মগোপনে থাকায় তাদেরকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না। তবে গোপন তৎপরতা অব্যাহত আছে।