গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের মশামারী গ্রামে ৩ মাসের অন্তঃস্বত্তা গৃহবধূ রুবি বেগমের হত্যাকারী স্বামী বাবলু মিয়াকে গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবীতে গতকাল মঙ্গলবার বিক্ষোভ মিছিল এবং সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী। এলাকার সহ¯্রাধিক নারী-পুরুষের বিক্ষোভ মিছিলসহ ফুলছড়ি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে বিক্ষোভকারীরা উপজেলা পরিষদের মূল গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২ঘন্টা ব্যাপী ফুলছড়ি-গাইবান্ধা সড়ক অবরোধ করে রাখে। এসময় রাস্তার দু’পাশে বিপুল সংখ্যক যানবাহন আটকা পড়ে। অবরোধ চলাকালে বক্তব্য রাখেন ফুলছড়ি উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আজহারুল ইসলাম বাবলু, উপজেলা সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য টুকু মিয়া, লিটন মিয়া, উপজেলা বণিক সমিতির নেতা আব্দুস সাত্তার, শিক্ষক নাজিম উদ্দিন, নিহত রুবি বেগমের পিতা আব্দুর রহিম, ভাই মানিক মিয়া প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, গত ৩০ এপ্রিল রোববার বিকেলে বাবলু মিয়া তার ৩ মাসের অন্তঃস্বত্তা স্ত্রী রুবি বেগমকে যৌতুকের দাবি করে নির্মমভাবে নির্যাতন চালায়। ফলে তার মৃত্যু হয়। পরে রুবির লাশ শয়ন ঘরের মেঝেতে ফেলে রেখে বাবলু মিয়া পালিয়ে যায়। এ হত্যাকাণ্ডের তিনদিন পেরিয়ে গেলেও ফুলছড়ি থানা পুলিশ অপরাধীকে গ্রেফতার না করে নিরব ভূমিকা পালন করছে। পুলিশের এ ভূমিকায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করে। তারা অবিলম্বে রুবি বেগমের হত্যাকারী বাবলু মিয়া ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবী জানান।
নিহত রুবি বেগম ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ বুড়াইল গ্রামের আব্দুর রহিমের মেয়ে। ৮-৯ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে একজন ছেলে ও একজন মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। বেশ কিছুদিন থেকে রুবির স্বামী যৌতুকের টাকা দাবী করে আসছিল। টাকা দিতে না পারায় রুবিকে তার স্বামী শারীরিকভাবে প্রচন্ড নির্যাতন করে।
এই হত্যাকাণ্ডে ঘটনায় রুবি বেগমের ভাই মানিক মিয়া বাদী হয়ে ফুলছড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাইবান্ধা আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।