প্রভাস-রানা দুগ্গাবটি অভিনীত ‘বাহুবলী ২ : দ্য কনক্লুশন’ বক্স অফিসে ঝড় তুলে একের পর এক রেকর্ড ভেঙেই চলেছে। প্রথম দিনে ১০০ কোটির ব্যবসা, ৩ দিনে ৫০০ কোটির ব্যবসা আরও কত রেকর্ড। এবার ফের নয়া রেকর্ড গড়ল এসএস রাজামৌলির বাহুবলী ২। মাত্র ৫ দিনেই ‘দঙ্গল’, ‘পিকে’, ‘বজরঙ্গী ভাইজান’-এর মতো বক্স অফিস সুপার হিট ছবির ব্যবসার অঙ্ককে টপকে সর্বকালের সর্বোচ্চ ব্যবসা করা ছবি হল বাহুবলী ২ বক্স অফিস ইন্ডিয়ার রিপোর্ট বলছে ৫ দিনে বাহুবলী ২-এর মোট আয় প্রায় ৫,৬৫,০০.০০.০০০ টাকা। নীট আয় ৪.৪১,০০,০০,০০০। দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে, বাহুবলী : দ্য বিগিনিং। এই ছবির মোট আয় ছিল ৫১৯ কোটি।২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘বাহুবলী: দ্য বিগিনিং’ ছবিতেও বাহুবলী রূপে বড়পর্দায় হাজির হন প্রভাস। ওইবারও অভাবনীয় সাফল্য এসেছিল। এর সুবাদে ছবিটি হয়ে যায় ব্লকবাস্টার। এবারের পর্ব ছাড়িয়েছে ১৮০ কোটি রুপি বাজেটে নির্মিত আগের ছবির আয়কে (বিশ্বব্যাপী ৬৫০ কোটি রুপি)।
প্রভাসপ্রতিষ্ঠিত তেলুগু তারকা প্রভাসের রূপালি পর্দায় অভিষেক হয় ২০০২ সালে ‘ঈশ্বর’ ছবির মাধ্যমে। এরপর ‘ভারশাম’, ‘চাকরাম’, ‘বিল্লা’ ও ‘মিরচি’র মতো ব্যবসাসফল ছবিতে দেখা গেছে তাকে। তবে ‘বাহুবলী’ ছাড়িয়ে গেছে তার আগেকার সব সাফল্য। এ ছবি মুক্তির পর তার ভক্ত হয়ে গেছে দুনিয়াজোড়া। এর পেছনে রয়েছে তার অনেক ত্যাগ। এ দুটি কিস্তির পেছনে জীবনের পাঁচটি বছর চলে গেছে প্রভাসের।দক্ষিণের অনেক ছবিতে অভিনয় করেছেন প্রভাস। এগুলোর সাফল্যের সুবাদে তিনি দক্ষিণ ভারতের অন্যতম সুপারস্টার। ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে বেশকিছু তামিল ছবিতেও দেখা গেছে তাকে। জেনে নিন বাহুবলী ওরফে প্রভাস সম্পর্কে জানা-অজানা ১০টি তথ্য।
রাজামৌলির সঙ্গে জোট
‘বাহুবলী’ সিরিজের দুটি ছবি মিলিয়ে এস এস রাজামৌলি ও প্রভাস তৃতীয়বার একসঙ্গে কাজ করলেন। তারা এর আগে ২০০৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ছত্রপতি’র জন্য হাত মিলিয়েছেন।‘বাহুবলী’র পেছনে পাঁচ বছর
‘বাহুবলী’ ফ্রাঞ্চাইজির শুটিং হয়েছে পাঁচ বছর ধরে। এই সময়ের মধ্যে অন্য কোনও ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হননি প্রভাস। সংবাদ সংস্থা আইএএনএস’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ৩৭ বছর বয়সী এই তারকা বলেন, ‘রাজামৌলির জন্য এই সিরিজের প্রয়োজনে সাত বছর ব্যয় করার জন্য প্রস্তুত ছিলাম।’
প্রভাসকোটি কোটি রুপি হাতছাড়া
‘বাহুবলী’র শুটিং চলাকালীন ১০ কোটি রুপির বিনিময়ে একটি বিজ্ঞাপনের মডেল হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন প্রভাস। এছাড়া বলিউডেরও বেশকিছু কাজ গিয়েছিল তার দুয়ারে। কিন্তু মনোযোগে যেন ব্যাঘাত না ঘটে সেজন্য কোনোটির দিকেই ফিরে তাকাননি তিনি। তাই কোটি কোটি রুপি হাতছাড়া হয়েছে তার।শরীরচর্চা
ছবি দুটিতে কাজ করার জন্য কঠোর প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে প্রভাসকে। বিশেষ করে বাহুবলী চরিত্রে মানানসই হতে ২২ কিলো ওজন বাড়িয়েছেন তিনি। পরে আবার তা কমাতে হয়েছে শিভুদু ভূমিকার জন্য। ‘বাহুবলী: দ্য কনক্লুশন’ ছবিতে অমরেন্দ্র ও মহেন্দ্র বাহুবলীর দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রভাস। সবশেষে বাহুবলী চরিত্রের প্রয়োজনে নিজের ওজন নিয়ে যেতে হয়েছে ১০৫ কিলোতে।
ক্রীড়ামোদি
খেলাধুলা ভালোবাসেন প্রভাস। জিমে গিয়ে শরীরচর্চার চেয়ে যখন যেখানে ভালো লাগে ঘাম ঝরান তিনি। বাহুবলী ছবির যুদ্ধের দৃশ্যে স্বাচ্ছন্দ্যবোধের জন্য নিজের বাড়ির আঙিনায় ভলিবল কোর্ট গড়ে তোলেন প্রভাস। সময় পেলেই বন্ধুদের নিয়ে ভলিবল খেলেন তিনি। কারণ এর মাধ্যমে মানসিক চাপ কমে যায় বলে তার ধারণা। ফিটনেসের ব্যাপারে বুঁদ হয়ে থাকা প্রভাস পাহাড়ে ওঠাকে শারীরিক কসরতের সেরা পদ্ধতি মনে করেন।
লাজুক মানুষ
বরাবরই নিভৃতে থাকতে ভালো লাগে প্রভাসের। তবে লাজুক হলেও মানুষটা বেশ মিশুক। এত সাফল্য পাওয়ার পরও পা মাটিতেই রেখেছেন। ভারতের বিতর্কহীন অভিনেতাদের মধ্যেও অন্যতম তিনি।হাজার হাজার বিয়ের প্রস্তাব
প্রভাসের ব্যক্তিগত জীবনের এ বিষয়টি নিয়েই সবার আগ্রহ বেশি। এখন পর্যন্ত ছয় হাজার বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছেন তিনি। কিন্তু হাতে কাজ থাকায় সবই ফিরিয়ে দিয়েছেন প্রভাস।
বইপ্রেমী
পড়ার ব্যাপারে বেশ আবেগপ্রবণ প্রভাস। তিনি বইপ্রেমী একজন মানুষ। তার বাড়িতে ব্যক্তিগত লাইব্রেরিও আছে।
প্রকৃতিপ্রেমী
পাখিকে খাঁচায় বন্দি করার পুরোপুরি বিরোধি প্রভাস। তার একটি বাগান আছে যেখানে অনেক পাখি উড়ে বেড়ায়।
‘বাহুবলী’র পর…
‘বাহুবলী’ অধ্যায় শেষে নতুন ছবির শুটিং শুরু করেছেন প্রভাস। ‘সাহো’ নামের ছবিটি মুক্তি পাবে ২০১৮ সালের এপ্রিলে।