গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধা জেলার দর্জি কারিগর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক ঈদ রোজা মৌসুমে বেআইনীভাবে কাজ বন্ধ রেখে অবৈধ কর্মবিরতি শুরু করে জেলা শহরের দর্জি মালিক সমিতির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে। গত ২৯ মে থেকে জেলার দর্জি দোকানগুলো বন্ধ থাকায় দর্জি মালিকরাসহ পোষাক প্রস্তুত করতে জনগণ চরম বিপাকে পড়েছে। এজন্য ঈদ মৌসুমে কাপড় ব্যবসায়িদের বেচাকেনাও বন্ধ হয়ে পড়েছে।
বুধবার গাইবান্ধা দর্জি মালিক সমিতির পক্ষ থেকে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে জরুরী ভিত্তিতে এর প্রতিকার দাবি করা হয়েছে। সেই সাথে এই অরাজকতা সৃষ্টির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণেরও দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, পূর্ব ঘোষণা ছাড়া শুধুমাত্র ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে দর্জি শ্রমিকরা গত ২৯মে থেকে আকস্মিকভাবে কর্মবিরতি শুরু করে। সেই সাথে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে অরাজকতা সৃষ্টি, হুমকি প্রদর্শন ও জোর পূর্বক দর্জি কারখানার সকল কার্যক্রম কাজ বন্ধ করে দেয়। উল্লেখ্য, দর্জি মালিক ও দর্জি শ্রমিকদের ২০১৬ সালের ৭ জুনের যৌথ সভায় সম্পাদিত চুক্তি মোতাবেক আগামী ৭ জুন পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ অনুযায়ী মূল্য বৃদ্ধির সময় নির্ধারণ করা রয়েছে। কিন্তু চুক্তির মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও চুক্তির শর্ত বরখেলাপ করে তার পূর্বেই শ্রমিকদের কর্মবিরতি অবৈধ এবং চুক্তি ভঙ্গের কার্যের সামিল। তদুপরি গত ২৯মে জেলা শহরের গোলাম টেইলার্স ও স্টাইল টেইলার্সসহ সকল কারখানায় বিনা অনুমতিতে এবং পূর্ব আলোচনা ছাড়াই জোর পূর্বক কারিগরদের হুমকি প্রদর্শন করে তাদের কর্মবিরতিতে বাধ্য করে দর্জি শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।
এছাড়া মহান মে দিবসে শহরের বাহিরে মহল¬া পর্যায়ের শ্রমিক বিহীন শুধু মালিক দ্বারা পরিচালিত পিংকি টেইলার্সের মালিক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিধান চন্দ্র মহন্ত এবং অক্ষর টেইলার্সের অমল চন্দ্র দাস এর কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা এবং তাদের সাথে অশালীন আচরণ ও মারপিটের হুমকি দেয়া হয়। উল্লেখ করা হয়, দর্জি শ্রমিকের কোন শ্রমিক বেতনভূক্ত নয় সেহেতু তাদের ঈদ বোনাসের দাবি সম্পুর্ণ অযৌক্তিক হওয়া সত্ত্বেও দর্জি মালিকদের কাছ থেকে জোর পূর্বক তাদের হুমকি দিয়ে বেকায়দায় ফেলে গত ঈদ বোনাস আদায় করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন গোলাম টেইলার্সের সত্ত্বাধিকারী রাজু আহমেদ, দি ডিসেন্ট টেইলার্সের সত্ত্বাধিকারী আবু বক্কর সিদ্দিক, মো. নুরুন্নবী আকন্দ, মো. মাসুদ সরকার, মো. খায়রুল ইসলাম খোকন, হৃদয় চন্দ্র সরকার, শেখ মনসুর রহমান, অমল চন্দ্র সাহা, লাল চান, শ্রী পূলক, রানা মিয়া, গোলাম মোস্তফা, শফিকুল ইসলাম, সুজন চন্দ্র, নুর ইসলাম, শ্রী সঞ্জয়, আঙ্গুর মিয়া, দুলু মিয়া, আজাদ মিয়া, সবুজ মিয়া, লাইক টেইলার্সের সত্ত্বাধিকারী কামরুজ্জামান চান, আবুল হোসেন, বারুন মিয়া প্রমুখ।