পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, বাংলাদেশ পুলিশের দক্ষতা, নৈতিকতা ও উঁচুমানের পেশাদারিত্ব বিশ্ববাসীর অকুন্ঠ সমর্থন ও প্রশংসা অর্জন করেছে।
আইজিপি আজ মঙ্গলবার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে শহীদ এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে শান্তিরক্ষা মিশনগামী পুলিশ সদস্যদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন।
আইজিপি সুনাম ধরে রাখতে জাতিসংঘের ম্যান্ডেট সমুন্নত রেখে আরো দক্ষতা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, পুলিশের এ অর্জন আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের মর্যাদা ও সম্মান বৃদ্ধি করেছে। সাফল্যের এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে তাদেরকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
আইজিপি বলেন, বিশ্বের সংঘাতপূর্ণ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত বিভিন্ন দেশে শান্তিস্থাপন এবং মানবিক সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশ পুলিশের ‘ব্লু হেলমেট’ পরিহিত সদস্যদের অনবদ্য অবদান ও গৌরবোজ্জ¦ল ভূমিকা রয়েছে।
পুলিশ শান্তিরক্ষীদের দেশের ‘এ্যাম্বেসেডর’ আখ্যায়িত করে আইজিপি বলেন, ‘আপনাদের প্রতিটি কাজে দেশের ভাবমূর্তি রক্ষাকে প্রধান্য দিতে হবে। দেশের এবং পুলিশ বাহিনীর সুনাম ও মর্যাদা বাড়াতে আপনাদের আরো নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।’
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের অধীনে দারফুর ও কঙ্গোতে ২টি এবং মালিতে ২াট মোট চারটি কন্টিনজেন্টে ৬ শত পুলিশ সদস্য যোগ দেবেন।
কন্টিনজেন্টসমূহের কমান্ডাররা হলেন- দারফুর মো. মনিরুজ্জামান, কঙ্গো সৈয়দা জান্নাত আরা, মালিতে মো. জিয়াউল হক এবং আনসার উদ্দিন খান পাঠান।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম ও এফএন্ডডি) মো. মইনুর রহমান চৌধুরী, ডিআইজি (মিডিয়া এন্ড প্ল্যানিং) মোঃ মহসিন হোসেন এনডিসি, অতিরিক্ত ডিআইজি আনসার উদ্দিন খান পাঠান এবং এআইজি (ইউএন অ্যাফেয়ার্স) শেখ রফিকুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং মিশনগামী পুলিশ সদস্যগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে দারফুর, হাইতি, কঙ্গো, মালি, দক্ষিণ সুদান ও লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের ১৬৪ জন নারী সদস্যসহ ১ হাজার ৬ জন সদস্য পেশাদারিত্ব ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। কঙ্গো এবং হাইতি মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের দুইটি নারী কন্টিনজেন্ট মোতায়েন রয়েছে।
১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যাত্রা শুরু করে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের ১৬ হাজার ৯৭৬ জন সদস্য মিশন সম্পন্ন করেছেন। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় ২০ জন অকুতোভয় বীর পুলিশ সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছেন।সূত্র- বাসস