খরববাড়ি ডেস্কঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে মোটরসাইকেল সড়ক দূর্ঘটনায় রংপুর ক্যান্ট পাবলিক পড়ুয়া মেধাবি শিক্ষার্থী নুরুন্নবী মন্ডল (২০) ঘটনাস্থলেই নির্মমভাবে নিহত এবং অপর সহযাত্রী বন্ধু লেমন মিয়া (২০) আহত হয়েছে। দূর্ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সন্ধ্যায় সদরের অদূরে মহেশপুর রাঙ্গামাটি শশ্মান সংলগ্ন রংপুর-বগুড়া মহাসড়কে।
প্রত্যক্ষদর্শি, ও থানা পুলিশ সূত্র জানা যায়, উপজেলা সদরের জামালপুর গ্রামের ব্যবসায়ী বকুল মিয়ার ছেলে নূরুন্নবী ও পাশের বাড়ীর ব্যবসায়ী পিয়ারা মিয়ার ছেলে লেমন নিজবাড়ী থেকে মোটরসাইকেল যোগে সদরে আসে। পরে তারা দু’জনই সদর থেকে মোটরসাইকেল হাঁকিয়ে নুরুন্নবী তার বোনের বাড়ী পীরগঞ্জের আজমপুর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
এ সময় একই দিক ঢাকা থেকে রংপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা হানিফ পরিবহনের দ্রুতগামী একটি কোচ পিছন থেকে তাদের প্রায় চাপা দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ভীতসন্ত্রস্ত লেমন প্রাণে বাঁচতে এ সময় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে লাফ দেয়।
ফলে; নিয়ন্ত্রন হারিয়ে নূরুন্নবী মোটরসাইকেলসহ চলন্ত কোচের চাকায় পেঁচিয়ে যায়। এতে নূরুন্নবীর শরীর ছিন্নভিন্ন হয়। এভাবে কোচটি কয়েক কি.মি. দূরে ধাপেরহাট বন্দরের নিকট গোসাইজানী ব্রিজে গিয়ে পৌঁছলে তার শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সেখানে খসে পড়ে। দূর্ঘটনায় লেমন সামান্য আহত হলেও নুরুন্নবীর দেহ ছিন্নভিন্ন-বিভৎস্য হয়ে যায়।
স্থানীয়দের সহায়তায় স্বজনরা নিহতের শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন মাথা ও হাত-পাসহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সমূহ সড়কের দূর-দূরান্ত বিভিন্ন স্থান থেকে কুড়িয়ে বাড়ীতে নিয়ে আসে। নম্র-ভদ্র ধর্মভিরু স্বভাবের মেধাবি শিক্ষার্থী নুরুন্নবীর এমন করুন মৃত্যুতের এলাকায় গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ধাপেরহাট ফাঁড়ির পুলিশ কোচটি আটক করেছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার সকালে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবর স্থানে তার লাশ দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।