
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বদ্ধপরিকর। তামাকের ব্যবহার হ্রাস করতে পারলে জনস্বাস্থ্য ও জাতীয় অর্থনীতির উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
আগামীকাল বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে আজ দেয়া একবাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এবছর বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘তামাক- উন্নয়নের অন্তরায়।’
আবদুল হামিদ বলেন, জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির সাথে সাথে বাংলাদেশের মানুষ ক্রমশ স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে উঠছে। জনগণকে তামাকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে পারলে এর ব্যবহার দ্রুত কমে আসবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, তামাক ব্যবহার বিশ্বে সকল প্রতিরোধযোগ্য রোগের অন্যতম প্রধান কারণ। তামাকের কারণে সারা বিশ্বে প্রতি ৬ সেকেন্ডে একজন লোক ক্যান্সার, হৃদরোগ,স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, হাঁপানিসহ ফুসফুসের দীর্ঘমেয়াদি নানা রোগে মৃত্যুবরণ করে। এছাড়াও অসুস্থ হয়ে কর্মক্ষমতা হারায় যার প্রভাব পড়ে তার পরিবারে, সমাজে। তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার জনস্বাস্থ্য ও জাতীয় অর্থনীতির জন্য হুমকিস্বরূপ।
আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ সরকার জনস্বাস্থ্যকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। এ বিবেচনায় সরকার ২০১৩ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ সংশোধন করেছে এবং ২০১৫ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) বিধি ২০১৫ প্রণয়ন করেছে। আইন অনুসারে সকল তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কের উভয় পার্শ্বে ৫০ ভাগ স্থান জুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, তামাকের ধোঁয়া থেকে অধূমপায়ীদের রক্ষায় পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহণে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শিশুদের তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য এ আইনে শিশুদের নিকট বা শিশুদের দ্বারা তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং দিবসটি উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।সূত্র- বাসস