প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদে নিয়োগে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশসহ পরবর্তী কার্যক্রমে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে উচ্চ আদালত।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
এর ফলে নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে নিয়োগের জন্য নেয়া পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে না বলে জানিয়েছেন মামলার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
একইসঙ্গে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা তদন্ত ও গত ২১ এপ্রিল নেয়া লিখিত পরীক্ষা বাতিলে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছেন আদালত।
অর্থ সচিব, আইন সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সভাপতি, জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ২১ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের অধীনে জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরীক্ষায় ব্যাপক হারে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তদন্ত ও ফলাফল বাতিলে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে ১৫ জন পরীক্ষার্থী গত সপ্তাহে রিটটি করেন। যা আজ শুনানির জন্য ওঠে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১০ মার্চ ৮৩৪টি পদের বিপরীতে জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি। এই পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব পায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ। গত ২৪ মার্চ সকাল ও বিকেলে প্রাথমিক বাছাই (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আড়াই লাখ প্রার্থী তাতে অংশ নেন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হন ১০ হাজার ১৫০ জন। ২১ এপ্রিল লিখিত পরীক্ষায় ৯ হাজার ৪০০ জন অংশ নেন।সূত্র- আরটিএনএন