দীর্ঘ ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটিয়ে বলিউডে আলোচনার শিরোনাম আরবাজ খান ও মালাইকা অরোরা দম্পতি। অনেকেই চেষ্টা করেছিলেন দু’জনের সম্পর্ক জোড়াতালি দেওয়া যায় কিনা। কিন্তু সব প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে বান্দ্রার একটি আদালতে ডিভোর্স হয় আরবাজ-মালাইকার।
ভক্ত মহলে প্রশ্ন জাগছে ‘মুন্নী বদনাম হুয়ি’ খ্যাত মালাইকার সাথে কেন টিকলো না আরবাজের সংসার? বলিউড হাঙ্গামার বরাতে টাইমস্ অব ইন্ডিয়া জানায় মালাইকা অরোরাই আর নিজেদের বিবাহিত জীবন কনটিনিউ করতে চাননি। আরবাজের ক্যারিয়ার নিয়ে নাকি মালাইকা অসন্তুষ্টি ছিল। তার স্বামী নাকি ‘সুপারস্টার ভাইয়ের ছায়ার নিচে বাস করতো।’
আরও জানা যায় যে খান পরিবারে নিজেকে ‘বহিরাগত’ মনে করতেন মালাইকা অরোরা। সালমান খান চেষ্টা করেছিলেন বিয়ে যেন না ভাঙ্গে। মালাইকাকে বুঝানোরও চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু মালাইকা সালমানের কথা শুনেনি।
আরও জানা যায় মালাইকার ড্রেসিং, তার কাজকর্ম, বন্ধুবান্ধব এইসব পছন্দ করতেন না সালমান। মজার বিষয় সালমান খানের ‘দাবাং’ ছবিতে একটি আইটেম সংয়ে অভিনয় করেছিলেন ছোট ভাইয়ের বউ মালাইকা।
কিন্তু ‘মুন্নি বদনাম হুয়ি’, ‘চল ছাইয়া ছাইয়া’ গানের মতো আইটেম সংয়ের মতো জনপ্রিয় গানগুলোর অভিনয় শিল্পী মালাইকা অবশেষে ডিভোর্সের পথেই গেলেন। আদালতের মাধ্যমে তাদের ১৪ বছরের ছেলে আরহানের দায়িত্ব পেলেন মালাইকা। অবশ্য স্বামীর কাছ থেকে কোনো খোরপোশ চাননি তিনি। পাশাপাশি আদালত এ-ও জানিয়েছে, ছেলের সঙ্গে যখন খুশি দেখা করতে পারবেন আরবাজ।
অবশ্য মাঝখানে বলিউডে জোর গুজব উঠেছিল অভিনেতা অর্জুন কাপুরের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে মালাইকার। যা ঘিরেই না কি মিয়া-বিবির মধ্যে ঝামেলার সূত্রপাত।
যদিও এ খবর ভুয়া বলে উড়িয়ে দেন মালাইকা। অর্জুন ও মালাইকা স্রেফ ভালো বন্ধু বলে জানান তারা।
উল্লেখ্য ১৯৯৮ সালে বিবাববন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন আরবাজ-মালাইকা। বর্তমানে আরবাজের বয়স ৪৯ আর মালাইকার ৪৩।