1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৫ অপরাহ্ন
৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৮শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
হাসপাতালের বেড থেকেই লাইভে সংবাদ: পেশার প্রতি দায়িত্ববোধে আলোচনায় সাংবাদিক রবিউল ইসলাম স্বচ্ছতা, সেবা ও সততার প্রতীক হতে চাই – এটিএম আজহারুল ইসলাম রংপুরে আট দিনব্যাপী বইমেলা শুরু গাজায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেবে ইইউ সংসদ নির্বাচনে ইসি থেকে রিটার্নিং অফিসার নিয়োগের দাবি বিএনপির শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সামরিক বাহিনী ও পুলিশের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা পলাশবাড়ীতে ওয়াজ মাহফিল আয়োজন নিয়ে আলোচনা: ব্যয় সাশ্রয় ও যৌথ আয়োজনের দাবি সচেতন মহলের পলাশবাড়ীতে বিএনপির নির্বাচনী উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত গাইবান্ধায় নবাগত ডিসি মাসুদুর রহমান মোল্লা’র যোগদান গোবিন্দগঞ্জে নির্যাতিত ও ত্যাগী নেতাদের মাঝে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবীতে বিক্ষোভ

অরণ্যপ্রেমী এই মানুষটিকে লোকে ডাকতো পাগল

  • আপডেট হয়েছে : বুধবার, ৩১ মে, ২০১৭
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেশীরা বলতো আন্তোনিও ভিনচেনতে একজন পাগল।

আর বলবেই না কেন? কোন সুস্থ মাথার মানুষ পকেটের পয়সা খরচ করে পতিত জমি কেনে? সেখানে একটি একটি করে গাছ বুনে সেখানে রীতিমত অরণ্য তৈরি করে?

“আমি যখন গাছের বীজ বুনতে শুরু করলাম তখন লোকে আমাকে বলেছিল. ‘আপনি তো এই গাছের ফলও খেতে পারবেন না। ফল দিতে গাছের সময় লাগবে ২০ বছর,” বিবিসির সাথে আলাপকালে বলছিলেন মি. ভিনচেনতে।

“আমি তাদেরকে বলেছিলাম, ‘আমি এই বীজ বুনছি কারণ আমি এখন যে শস্য খাচ্ছি তা কেউ একজন কোন এক সময়ে বুনেছিল,” তিনি বলছিলেন, “আর তাই আমার বোনা গাছের ফল কেউ না কেউ ভবিষ্যতে খেতে পাবে।”

মি. ভিনচেনতের বয়স এখন ৮৪ বছর। ব্রাজিলের সাও পাওলো শহরে থেকে ২০০ কি.মি. দূরে ১৯৭৩ সালে তিনি ৩০ হেক্টর পতিত জমি কেনেন।

অ্যামাজনের বন পরিষ্কার করে এই জমি তৈরি করা হয়েছিল।

আন্তোনিও ভিনচেনতে এসেছেন বড় কৃষিজীবী পরিবার থেকে।

ছেলেবেলায় তিনি দেখেছেন, কিভাবে অ্যামাজনের জঙ্গল কেটে সাফ করা হচ্ছে কৃষিকাজের জন্য।

আর গাছপালা না থাকার ফলে সেখানে কিভাবে জলের অভাব হচ্ছে।

সে সময়টাতে ব্রাজিলের সামরিক সরকার দেশে কৃষির প্রসার ঘটানোর জন্য অর্থ বরাদ্দ করছিল।

সেই টাকা এবং তার নিজের ব্যবসা বিক্রির টাকা জমিয়ে তিনি জমির বন্দোবস্ত নেন। জমির একপাশে নিজের জন্য তৈরি করেন একটি বাড়ি।

কিন্তু গাছ না কেটে তিনি জমিতে একটা একটা করে গাছ বোনা শুরু করেন।

সান-ফ্রান্সিসকো হাভিয়ে শহরের কাছে তার এই ব্যক্তিগত অরণ্যে এখন রয়েছে প্রায় ৫০,০০০ গাছ।

গত প্রায় ৩০ বছর মি. ভিনচেনতে যখন গাছ বুনে যাচ্ছিলেন সেই সময়টায় ব্রাজিলের সাও পাওলো রাজ্যে মোট ১৮৩,০০০ হেক্টর বনভূমি ধ্বংস করা হয়।

মি. ভিনচেনতের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে এক সময় যে জায়গা ছিল বিরানভূমি, সেখানে এখন অনেক গাছ।

অনেক ধরনের প্রাণীর নিরাপদ আশ্রয়স্থল এটি।

“অনেক ধরনের পাখী রয়েছে এখানে। রয়েছে কাঠবেরালি, গুই-সাপ,” হাসতে হাসতে তিনি বলছিলেন, “অল্পবয়সী একটি জাগুয়ার বাঘও রয়েছে, যেটা মাঝেমধ্যেই আমার মুরগী ধরে নিয়ে যায়।”

জঙ্গল তৈরি হওয়ার পর সেখানে এখন জলের উৎসও তৈরি হয়েছে।

আগে মি. ভিনচেনতের অরণ্যে পানির উৎস ছিল একটি।

এখন সেখানে ২০টি জলের উৎস তৈরি হয়েছে।সূত্র- বিবিসি

 

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft