1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৫ অপরাহ্ন
২৮শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
জেলা প্রশাসককে গাইবান্ধা প্রেস কাবের বিদায় সংবর্ধনা গাইবান্ধায় জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে নারী সমাবেশ পলাশবাড়ীতে আওয়ামী লীগের অবরোধের বিপক্ষে জামায়াতের অবস্থান কর্মসূচি পলাশবাড়ীতে ইভটিজিং নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও সচেতন নাগরিক সমাজ, প্রতিকার চেয়ে থানায় সাংবাদিক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ সীমান্তে ড্রোন উড্ডয়ন! পীরগঞ্জের কনটেন্ট ক্রিয়েটরের কর্মকাণ্ডে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ। পলাশবাড়ীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ভোটবাবু গ্রেফতার তারাগ‌ঞ্জে বাজারের দখলে বিশ্বরোড ধানের শীষের প্রচারণায় পলাশবাড়ীর হোসেনপুর ইউনিয়ন বিএনপি পলাশবাড়ীতে জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বাদীর স্বামীর ৩ আঙুল কেটে দিয়েছে বিবাদীরা ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ভুক্তভোগী পরিবার পলাশবাড়ীর তালুকজামিরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সভা

আজ সাবেক এম.এন.এ. এবং পার্লামেন্ট সেক্রেটারী এম. আতাউর রহমান বাদশা মিয়ার ২৭ তম মৃত্যু বার্ষিকী

  • আপডেট হয়েছে : বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০১৭
  • ৩৩ বার পড়া হয়েছে

খবরবাড়ি ডেস্কঃ এম. আতাউর রহমান (বাদশা মিয়া) ১৯৩৬ সালে গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের আলদাদপুর গ্রামে এক ধনাঢ্য মুসলিম জোতদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা আলহাজ্ব এম. আফতাব উদ্দিন আহম্মেদ ফরিদপুরে দীর্ঘ ৪৮ বৎসর পঞ্চায়েত প্রেসিডেন্ট ছিলেন। দাদা এম. আবদুল কাদের মিয়াও ফরিদপুরের পঞ্চায়েত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন সুর্দীঘ কাল। ৭ বোন ২ ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন ৫ম সন্তান।

ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন ডানপিটে স্বভাবের। খেলাধুলা গান-বাজনাসহ হৈ হুল্লোড় নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন সবসময়।

ফরিদপুরের জনগণ তাকে অতি অল্প বয়সেই অপ্রতিদ্বন্দ্বী পঞ্চায়েত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করেন। পঞ্চায়েত প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় তিনি এলাকার ও জনগণের সেবায় পুরোপুরি আত্মনিয়োগ করেন। তার হাতের ছোঁয়ায় পরিবর্তন হতে থাকে ফরিদপুরের পরিবেশ, রাস্তা, স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, পুল-কালভার্ট। পরে তিনি জেলা কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন।

সততা, নিষ্ঠা, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও জ্বালাময়ী বক্তৃতার কারণে খুব অল্প সময়ে ফরিদপুরের গন্ডি পেরিয়ে তার সুনাম আর সু-খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে সাদুল্লাপুর, পলাশবাড়ি, সুন্দরগঞ্জ, মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জসহ আশেপাশের উপজেলাগুলোতে। এম. আতাউর রহমান বাদশা মিয়া পরিণত হন এক অবিসংবাদিত মাটি ও মানুষের নেতায়।

১৯৬২ সালে মাত্র ২৬ বৎসর বয়সে তিনি বিপুল সমর্থন নিয়ে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য (এমপিও) নির্বাচিত হন। ২৯ বৎসর বয়সে ১৯৬৫ সালে তদানিন্তন জাতীয় পরিষদের সাদুল্লাপুর, সুন্দরগঞ্জ, মিঠাপুকুর ও পীরগঞ্জ চার থানা মিলে মেম্বার অব ন্যাশনাল অ্যাসেম্বিলি (এম,এন,এ) নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীতে নিজ যোগ্যতা বলে পাকিস্তান সরকারের কেন্দ্রীয় খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের পার্লামেন্টারী সেক্রেটারী (প্রতিমন্ত্রী) নিযুক্ত হন।

রাজনীতির পাশাপাশি তিনি ছিলেন একজন সফল পাট ব্যবসায়ী। দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে তার বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ‘আল-আমিন ডান্ডি’ ছিল অন্যতম।

ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট, জেলা কাউন্সিলের সদস্য, প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য এবং জাতীয় পরিষদ সদস্য থাকাকালীন তিনি এলাকার ও জনগণের উন্নয়নে অসংখ্য কাজ করেন। এম.আতাউর রহমান বাদশা মিয়া একদিকে যেমন ছিলেন মাটি মানুষের নেতা, অপরদিকে কবিতা চর্চায়ও ছিলেন সিদ্ধহস্ত। ১৯৭৭ সালে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘স্বালাপ’ প্রকাশিত হয়। ৯২টি কবিতা নিয়ে প্রকাশিত ৬৪টি পৃষ্ঠার তার এই কবিতার বইটি সেই সময় তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করে।

তিনি ভালবাসতেন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষকে। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি কাজ করে গেছেন এ দেশের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের উন্নয়নে। ৭ সন্তান ২ স্ত্রীসহ অসংখ্য ভক্তানুরাগী, স্বজন শুভাকাঙ্খী রেখে মাটি ও মানুষের এই মহান নেতা মাত্র ৫৪ বৎসর বয়সে ১৯৯০ সালের ২৫ মে সন্ধ্যা সাতটায় তার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের সমাপ্তি টানেন।

বৃহস্পতিবার বাদ যোহর তাঁর গ্রামের বাড়ি আলদাদপুরের ‘আহম্মদ নগর দারুল উলুম মাদ্রাসায়’ মরহুমের মাগফেরাতের জন্য দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft