1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:১১ পূর্বাহ্ন
২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৭ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
পলাশবাড়ীতে পৈত্রিক জমি দখলের অভিযোগে গ্রীন ফিল্ড স্কুলের প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে ওয়ারিশদের সংবাদ সম্মেলন ৮ ডিসেম্বর পলাশবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস তারাগঞ্জে নিয়মবহির্ভূতভাবে সার মজুদ করায় ব্যবসায়ীকে জরিমানা পীরগঞ্জে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অপবাদে গৃহবধুর নির্যাতন ও আত্মহত্যা,স্থানীয় নেতৃত্বের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ গাইবান্ধায় ‘জাসদ নেতাকে’ এনসিপির আহবায়ক করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ গাইবান্ধার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ ৬ নেতাকে শোকজ তারাগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা দম্পতি হত্যা: এলাকায় শোক–আতঙ্ক,  দুস্কৃতকারী‌দের গ্রেপ্তারের দাবি ‘সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণ-নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে গাইবান্ধায় নারী-পুরুষদের সাথে আলোচনা সভা গাইবান্ধা হানাদার মুক্ত দিবস পালন

আজ সাবেক এম.এন.এ. এবং পার্লামেন্ট সেক্রেটারী এম. আতাউর রহমান বাদশা মিয়ার ২৭ তম মৃত্যু বার্ষিকী

  • আপডেট হয়েছে : বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০১৭
  • ৪৫ বার পড়া হয়েছে

খবরবাড়ি ডেস্কঃ এম. আতাউর রহমান (বাদশা মিয়া) ১৯৩৬ সালে গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের আলদাদপুর গ্রামে এক ধনাঢ্য মুসলিম জোতদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা আলহাজ্ব এম. আফতাব উদ্দিন আহম্মেদ ফরিদপুরে দীর্ঘ ৪৮ বৎসর পঞ্চায়েত প্রেসিডেন্ট ছিলেন। দাদা এম. আবদুল কাদের মিয়াও ফরিদপুরের পঞ্চায়েত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন সুর্দীঘ কাল। ৭ বোন ২ ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন ৫ম সন্তান।

ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন ডানপিটে স্বভাবের। খেলাধুলা গান-বাজনাসহ হৈ হুল্লোড় নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন সবসময়।

ফরিদপুরের জনগণ তাকে অতি অল্প বয়সেই অপ্রতিদ্বন্দ্বী পঞ্চায়েত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করেন। পঞ্চায়েত প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় তিনি এলাকার ও জনগণের সেবায় পুরোপুরি আত্মনিয়োগ করেন। তার হাতের ছোঁয়ায় পরিবর্তন হতে থাকে ফরিদপুরের পরিবেশ, রাস্তা, স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, পুল-কালভার্ট। পরে তিনি জেলা কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন।

সততা, নিষ্ঠা, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও জ্বালাময়ী বক্তৃতার কারণে খুব অল্প সময়ে ফরিদপুরের গন্ডি পেরিয়ে তার সুনাম আর সু-খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে সাদুল্লাপুর, পলাশবাড়ি, সুন্দরগঞ্জ, মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জসহ আশেপাশের উপজেলাগুলোতে। এম. আতাউর রহমান বাদশা মিয়া পরিণত হন এক অবিসংবাদিত মাটি ও মানুষের নেতায়।

১৯৬২ সালে মাত্র ২৬ বৎসর বয়সে তিনি বিপুল সমর্থন নিয়ে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য (এমপিও) নির্বাচিত হন। ২৯ বৎসর বয়সে ১৯৬৫ সালে তদানিন্তন জাতীয় পরিষদের সাদুল্লাপুর, সুন্দরগঞ্জ, মিঠাপুকুর ও পীরগঞ্জ চার থানা মিলে মেম্বার অব ন্যাশনাল অ্যাসেম্বিলি (এম,এন,এ) নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীতে নিজ যোগ্যতা বলে পাকিস্তান সরকারের কেন্দ্রীয় খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের পার্লামেন্টারী সেক্রেটারী (প্রতিমন্ত্রী) নিযুক্ত হন।

রাজনীতির পাশাপাশি তিনি ছিলেন একজন সফল পাট ব্যবসায়ী। দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে তার বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ‘আল-আমিন ডান্ডি’ ছিল অন্যতম।

ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট, জেলা কাউন্সিলের সদস্য, প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য এবং জাতীয় পরিষদ সদস্য থাকাকালীন তিনি এলাকার ও জনগণের উন্নয়নে অসংখ্য কাজ করেন। এম.আতাউর রহমান বাদশা মিয়া একদিকে যেমন ছিলেন মাটি মানুষের নেতা, অপরদিকে কবিতা চর্চায়ও ছিলেন সিদ্ধহস্ত। ১৯৭৭ সালে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘স্বালাপ’ প্রকাশিত হয়। ৯২টি কবিতা নিয়ে প্রকাশিত ৬৪টি পৃষ্ঠার তার এই কবিতার বইটি সেই সময় তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করে।

তিনি ভালবাসতেন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষকে। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি কাজ করে গেছেন এ দেশের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের উন্নয়নে। ৭ সন্তান ২ স্ত্রীসহ অসংখ্য ভক্তানুরাগী, স্বজন শুভাকাঙ্খী রেখে মাটি ও মানুষের এই মহান নেতা মাত্র ৫৪ বৎসর বয়সে ১৯৯০ সালের ২৫ মে সন্ধ্যা সাতটায় তার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের সমাপ্তি টানেন।

বৃহস্পতিবার বাদ যোহর তাঁর গ্রামের বাড়ি আলদাদপুরের ‘আহম্মদ নগর দারুল উলুম মাদ্রাসায়’ মরহুমের মাগফেরাতের জন্য দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft