1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:১০ অপরাহ্ন
১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
পলাশবাড়ীতে ব্র্যাকের আয়োজনে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে দুলুর রোগমুক্তি কামনায় বিএনপির দোয়া মাহফিল গাইবান্ধায় আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন পলাশবাড়ীর হোসেনপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ধানের শীষ প্রতীকের প্রচারণায় লিফলেট বিতরণ গাইবান্ধায় মাসব্যাপী ফুটবল প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ সাংবাদিক রিকতু প্রসাদের মায়ের পরলোকগমন : শোক ও সমবেদনা ঢাকার সোহরাওয়ার্দীতে আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত সম্মেলন: কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে উত্তাল সমাবেশ আমদানির সংবাদে দিনাজপুরে পেঁয়াজের দাম কমেছে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১ ঢাকায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড: বদরগঞ্জে আশরাফুলের জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল

হ্যাটট্রিক, শততম গোল দুর্দান্ত রোনালদোয় সেমিতে রিয়াল

  • আপডেট হয়েছে : বুধবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৭
  • ২৯ বার পড়া হয়েছে

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো কী পণ করে বসেছেন, বায়ার্ন মিউনিখকে পেলেই ছিঁড়েখুঁড়ে ফেলবেন? দেখে তা-ই মনে হতে পারে। আগের ছয় ম্যাচে ছয় গোল ছিল। এর মধ্যে গত বুধবার কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগেই দুটি। আজ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন রোনালদো। দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকই করে ফেললেন। আর পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের হ্যাটট্রিকের সৌজন্যেই কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে দশ জনের হয়ে পড়া বায়ার্নকে ঘরের মাঠে ৪-২ গোলে হারিয়েছে রিয়াল। দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৩ গোলে জিতে উঠে গেছে এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে।
দলীয় অর্জন তো হলো। রোনালদোর একটা ব্যক্তিগত অর্জনও হয়ে গেল এতে। বায়ার্নের মাঠে জোড়া গোল করে গড়েছিলেন ইউরোপিয়ান সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শততম গোল করা প্রথম ফুটবলার। আজকের ম্যাচের আগে শুধু চ্যাম্পিয়নস লিগে শততম গোলের রেকর্ড গড়তে রোনালদোর দরকার ছিল তিনটি গোল। তা আর বাদ থাকে কেন! সেটিও পূরণ করে ফেললেন পর্তুগিজ যুবরাজ!
বায়ার্নের মাঠে ২-১ গোলে জেতায় এমনিতেই সেমিতে ওঠার সমীকরনে অনেকটা এগিয়ে ছিল রিয়াল। কিন্তু দলটা বায়ার্ন বলেই হয়তো মোটেও এই কয়দিন শান্তিতে ঘুমাতে পারেননি রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদান। কেন, সেটি আজ ম্যাচের শুরু থেকেই বুঝিয়ে দিচ্ছিল বাভারিয়ানরা। রেফারির বাঁশির পর থেকেই রিয়ালের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল! রিয়ালও ছেড়ে কথা কয়নি। তাতেই প্রথমার্ধটা হলো জমজমাট। আক্রমণ, পালটা আক্রমণ, রক্ষণের কিছু ভুল, স্ট্রাইকারদের মিস…ছিল সবই। শুধু গোলটাই ছিল না।
গোল এল, ৫১ মিনিটে। পেল বায়ার্ন। বক্সে আরিয়েন রোবেনকে ফেলে দেন রিয়াল মিডফিল্ডার কাসেমিরো। পেনাল্টি থেকে গোল করেন রবার্ট লেভানডফস্কি। তখন মনে হচ্ছিল, ম্যাচটা যেন বায়ার্নের দিকেই হেলে পড়ছে। দুই লেগ মিলিয়ে তখন ২-২ সমতা, রিয়াল তখন এগিয়ে শুধু বায়ার্নের মাঠে পাওয়া দুটি ‘অ্যাওয়ে’ গোলের সুবাদে।
একটু স্নায়ুচাপে হয়তো ভুগছিলেন জিদান। রিয়াল সমর্থকেরাও। তাদের উদ্ধার করলেন কে? আর কে, রোনালদো! ৭৬ মিনিটে কাসেমিরোর ক্রস থেকে দুর্দান্ত হেডে করলেন নিজের ও দলের প্রথম গোল! ৩-১।
কিন্তু রিয়াল একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে কী ফেলেনি, এর মধ্যেই আবার গোল! এবার বায়ার্নের। সেটি এলও কীভাবে। রীতিমতো রিয়ালের হৃদয় এফোঁড়-ওফোঁড় করে দেওয়ার মতো। সার্জিও রামোসের হাস্যকর দর্শন এক আত্মঘাতী গোলে!
রোনালদোর প্রথম গোল।
বক্সে বল এসেছিল বায়ার্ন স্ট্রাইকার লেভানডফস্কির পায়ে, তবে ঠিক নিয়ন্ত্রণে ছিল না তাঁর। দলকে বিপদমুক্ত করতে রিয়াল অধিনায়ক রামোস বলটা আলতো ঠেলে দিয়েছিলেন গোলকিপার কেইলর নাভাসের দিকে। কিন্তু বোঝাপড়ায় ভুল হলো। নাভাস নিজেই ততক্ষনে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন বল ধরতে। দুজনের বোঝাপড়ার ভুলে বলটা চলে গেল রিয়ালেরই ফাঁকা পড়ে থাকা পোস্টে। ম্যাচের স্কোরলাইন ২-১, দুই লেগ মিলিয়ে ৩-৩, রিয়ালের ‘অ্যাওয়ে’ গোলের সুবিধাও শেষ।
তখন আবারও শঙ্কা, এবারও কী চ্যাম্পিয়নস লিগটা তার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের জন্য একটা ধাধা হয়ে থাকবে? চ্যাম্পিয়নস লিগ নাম হওয়ার পর যে কখনোই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা পরের বার আর জেতেনি শিরোপাটা। রিয়াল যেভাবে গোল খেল, মনে হচ্ছিল, প্রকৃতি এবারও যেন একই ভাগ্য লিখে রেখেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের জন্য।
কিন্তু এবার আর হলো না। হতে দিলেন না রোনালদো। আর আরতুরো ভিদাল!
হ্যাঁ, ভিদালই। লাল কার্ড দেখে! প্রথমার্ধে ইসকোকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেছিলেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আরেকটি ফাউল করেছিলেন, কিন্তু তখন কোনোমতে বেঁচে যান। কিন্তু ৮৪ মিনিটে আর বাঁচতে পারেননি, যদিও এবারেরটি ঠিক ফাউল ছিল না! মার্কো অ্যাসেনসিওর কাছ থেকে বল কেড়ে নিতে গিয়েছিলেন ভিদাল, তাঁর পা আগে বলে লেগেছিল, তারপর অ্যাসেনসিওর পায়ে। কিন্তু রেফারি দিলেন হলুদ কার্ড। দুই হলুদে লাল, প্রথম লেগের মতো এবারও বায়ার্ন হয়ে পড়ল দশজনের দল।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের বাকি সময়ে আর কোনো গোল খায়নি বায়ার্ন। ম্যাচ যায় অতিরিক্ত সময়ে। কিন্তু দশজন নিয়ে এই রিয়ালের সঙ্গে পারাটা খুব একটা সহজ কাজ তো নয়। তারওপর রোনালদো যদি থাকেন এমন আগুনে রুপে!
১০৫ মিনিটে রামোসের ক্রসে পা ছুঁইয়ে করলেন নিজের দ্বিতীয় গোল। যদিও এখানেও রেফারির ভুল, রামোসের ক্রসের সময় রোনালদো ছিলেন অফসাইড। কিন্তু রোনালদোর ওসব নিয়ে ভাবতে বয়েই গেছে। ওই গোলে রিয়াল যেমন স্বস্তি পেয়েছে, তেমনি বায়ার্নও কিছুটা মুষড়ে পড়েছে।
দুটির যোগফল? তিন মিনিট পরও আবারও রোনালদোর গোল। মাঝমাঠের একটু ওপর থেকে বল নিয়ে মার্সেলো দুর্দান্ত দৌড়ের পর বল দিলেন ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা রোনালদোকে। সেখান থেকে গোল করা তো রোনালদোর জন্য হাতের মোয়া। হয়ে গেল গোল! চ্যাম্পিয়নস লিগের অন্যতম স্মরণীয় গোলই। এই গোলেই যে চ্যাম্পিয়নস লিগ পেল তার ইতিহাসের প্রথম সেঞ্চুরি করা গোলস্কোরারকে – ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো!
রিয়াল তখন উচ্ছ্বাসে ভাসছে, বায়ার্নেরও যেন লড়াইয়ের আর প্রাণশক্তি বাকি নেই। সেটির সুবিধা তুলে নিলেন রিয়ালের আগামী দিনের সম্ভাব্য মহাতারকা মার্কো অ্যাসেনসিও! ১১২ মিনিটে করলেন নিজের প্রথম ও দলের চতুর্থ গোল!
সেমিতে উঠল রিয়াল, চলে গেল স্বপ্নপূরণের আরও দুই ধাপ কাছে। প্রথম দল হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা ধরে রাখার স্বপ্ন।
অন্য ম্যাচে লেস্টার সিটির মাঠে ১-১ গোলে ড্র করে সেমিতে উঠেছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদও। দুই লেগ মিলিয়ে অ্যাটলেটিকোর জয় ২-১ গোলে। আজ ম্যাচের ২৬ মিনিটে সাউলের গোলে এগিয়ে যায় অ্যাটলেটিকো, ৬১ মিনিটে সমতা ফেরান লেস্টারের জেমি ভার্ডি। লেস্টারের স্বপ্নযাত্রা এখানেই শেষ হলো, আর গত চার মৌসুমে তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিতে উঠল ডিয়েগো সিমিওনের অ্যাটলেটিকো। সূত্র: টেন ১ ও ২।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft