1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:২২ অপরাহ্ন
২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১: শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড, মামুনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড তারাগঞ্জে নবীনবরণ, বিদায় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পলাশবাড়ীর কিশোরগাড়ী ইউনিয়নে “ভুয়া দরপত্রের মাধ্যমে গাছ বিক্রি” শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রতিবাদ গাইবান্ধার পুলিশ সুপার নিশাত এ্যঞ্জেলা বদলী : নতুন পুলিশ সুপার সারওয়ার আলম ফুলছড়িতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে দুইজন আটক পোশাকের রং বদলায়, কিন্তু বদলায় কি পুলিশের আচরণ? গাইবান্ধায় এনসিপির মনোনয়ন ফরম তুলেছেন যারা পলাশবাড়ী পৌর জামায়াতের নির্বাচনী মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত পলাশবাড়ী উপজেলা জাতীয়তাবাদী তারেক জিয়ার প্রজন্ম দলের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন রাজশাহীতে বিচারকপুত্র হত্যার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় মানববন্ধন

স্তন ক্যান্সার শনাক্তের সহজ উপায়

  • আপডেট হয়েছে : বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৭
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

পৃথিবীর কোথাও না কোথাও স্তন ক্যান্সারের কারণে প্রতি ৭০ সেকেন্ডে একজন নারী মৃত্যুবরণ করে। প্রাথমিক পর্যায়ে স্তন ক্যান্সার ধরা পড়লে ক্যান্সার চিকিৎসা ও সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যায়। দুর্ভাগ্যক্রমে এ কথা বিশ্বের অধিকাংশ উঠতি বয়সী মেয়ে এবং বয়স্ক নারীনা জানেন না।

স্তন ক্যান্সারের উপসর্গের মধ্যে রয়েছে-মাথা ব্যথা, স্তনে ব্যথা, স্তনের কোনো অংশ ফুলে যাওয়া, চামড়ার ফুসকুড়ি, স্তনের কোনো অংশের ঘনত্ব বেড়ে যাওয়া বা চামড়া মোটা হয়ে যাওয়া, স্তনে কোষপিণ্ডের উৎপত্তি হওয়া ইত্যাদি। তবে সব কোষপিণ্ড ক্যান্সারের কারণে সৃষ্টি হয় না এবং এসব কোষপিণ্ড ক্ষতিকর নাও হতে পারে। ক্ষতিকর হোক বা না হোক, স্তনে এ রকম কোষপিণ্ড ধরা পড়লে অনতিবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পিণ্ডের ধরন সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।

স্তনের ভেতরে বা বাইরে যেকোনো ধরনের অস্বাভাবিকতা ধরা পড়লে বা নজরে এলে দেরি না করে তা ক্যান্সার বিশেষজ্ঞের নজরে আনতে হবে।

সচরাচর স্তন ক্যান্সার হলে যেসব অস্বাভাবিকতার সৃষ্টি হয় তার মধ্যে রয়েছে স্তনে কোষপিণ্ডের উপস্থিতি, বগলের নিচে ব্যথা বা স্তনের ব্যথা, যা ঋতুস্রাবের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়; স্তনের চামড়া কমলার মতো লাল হয়ে যাওয়া, স্তনের বোঁটার ওপর বা আশপাশে ফুসকুড়ি, বগলের নিচে ফুলে যাওয়া বা পিণ্ডের উৎপত্তি হওয়া, স্তনের কোনো অংশের টিস্যু মোটা বা পুরু হয়ে যাওয়া, কোনো একটি স্তনের বোঁটা থেকে তরল পদার্থ বা রক্তমিশ্রিত তরল পদার্থ বের হওয়া, স্তনের বোঁটার আকার-আকৃতি পরিবর্তন হওয়া, স্তনের আকার-আকৃতিতে পরিবর্তন আসা, স্তনের বোঁটার চামড়া বা স্তনের চামড়া খসে যাওয়া, আঁশ খসে পড়া অথবা ছোট ছোট হালকা-পাতলা টুকরো খসে পড়া ইত্যাদি। স্তন ক্যান্সার পরীক্ষা নিজেই করতে পারেন।

ওপরে আমি স্তনের যেসব অস্বাভাবিকতার কথা উল্লেখ করেছি, তা তীক্ষ্ণভাবে লক্ষ্য করুন এবং অনুভব করতে চেষ্টা করুন। স্তনের কোনো অংশে কোষপিণ্ড বা টিউমার থাকলে, চামড়া মোটা হয়ে গেলে তা আপনি হাতের আঙুলের তালু দিয়ে পরীক্ষা করার সময় ধরা পড়বে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হাতের আঙুল দিয়ে পুরো স্তন নিখুঁতভাবে পরীক্ষা করুন।

উঠতি বয়সী মেয়েদের ক্যান্সার নির্ণয়ের পদ্ধতির কথা জানাতে হবে এবং শেখাতে হবে। কারণ তাদের অনেকেরই এ সম্পর্কে কোনো ধারণাই থাকে না, ধারণা থাকলেও লজ্জায় বলে না। সময়মতো ক্যান্সার শনাক্ত করা হয়নি বা যায়নি বলে অনেক নারী বিপর্যয়ের মখোমুখি।

আমি ক্লাসে ছাত্রছাত্রীদের সতর্ক করি এবং ক্যান্সার শনাক্তকরণে প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা কীভাবে করতে হবে, তা বলি। আমি মনে করি, বাবা- মা এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও এই ভূমিকা পালন করা উচিত। নিজের স্তন নিজে কিভাবে পরীক্ষা করা হয় তার সচিত্র প্রতিবেদন ইন্টারনেটে গেলেও পাওয়া যাবে। এ ছাড়া চিকিৎসকের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।

স্তন পরীক্ষার দ্বিতীয় পদ্ধতি হলো ম্যামোগ্রাফি। নারীদের বয়স ৪০-এ পৌঁছলে রুটিন ম্যামোগ্রাফি শুরু করা দরকার। বায়োপসির মাধ্যমে সঠিকভাবে ক্যান্সার শনাক্ত করা সম্ভব। স্তনের অস্বাভাবিক টিস্যু, কোষপিণ্ড বা টিউমার থেকে কিছু কোষ অপারেশনের মাধমে কেটে বের করে এনে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে জানা যায় তা ক্যান্সারকোষ কি না।

এই পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সারের ধরণ ও পর্যায় জানা যায়। স্তনের এমআরআই (ম্যাগনেটিক রেজনেন্স ইমেজেস) করেও ক্যান্সার শনাক্ত করা হয়। স্ট্যাজিং (Staging) হল অন্য এক পরীক্ষা, যার মাধ্যমে বিশেষজ্ঞরা শরীরের ক্যান্সারের সর্বশেষ পর্যায় নির্ণয় করতে পারেন। এই পরীক্ষার মাধ্যমে এটাও জানা সম্ভব, ক্যান্সারকোষ স্বস্থানে আবদ্ধ আছে কি না, নাকি সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে (metastasis)।

টিউমার কত বড় হয়েছে, ক্যান্সারে লিম্ফনোড আক্রান্ত হয়েছে কি না, হলে কতগুলো আক্রান্ত হয়েছে বা ক্যান্সারকোষ কোথায় কোথায় ছড়িয়ে পড়েছে তা-ও এই পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা সম্ভব। স্তনক্যান্সার সম্পর্কে সচেতন হোন ও সচেতনতা সৃষ্টি করুন।

লেখক: অধ্যাপক, ক্লিনিকাল ফার্মাসি ফার্মাকোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft