এটিএম আফছার আলী, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) থেকেঃ সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ার্ডবয় হারুন অর রশিদের দৌরাতেœ্যর অতিষ্ঠ এলাকাবাসি।
জানা গেছে, তারাপুর ইউনিয়নের চাচিয়া মীরগঞ্জ গ্রামের ওসমান আলী মাস্টার দীর্ঘদিন আগে সরকারি খাস জমি থেকে ৭ শতাংশ জমি ভাগিনা আজিজুল হক কুড়ির নামে ডিসিআর করে দেয়। ডিসিআরকৃত জমি ভাগিনাকে বুঝিয়ে না দিয়ে ২ ছেলে সাইদুল ইসলাম ও সফিউল ইসলাম সফুকে বাড়ি করে দেয়। এমতাবস্থায় সফু জেল হাজতে থাকায় সোমবার ওই জমির একাংশের সুপারি বাগানে গাছ কাটতে যায় সিরাজুল ইসলাম বাচ্চুর ছেলে ওয়ার্ড বয় হারুন অর রশিদ। এতে সফু মিয়ার স্ত্রী ও কন্যা সাগরি বাঁধা দিতে গেলে হারুন অর রশিদ ও তার ভাই হাবিবুর রহমান নয়ন এবং মা হালিমা বেগম তাদেরকে মারপিট করে। সফু মিয়ার স্ত্রী ও কন্যাকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। বর্তমানে সফু মিয়ার স্ত্রী ও কন্যা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মামলায় পড়ার ভয়ে সুচতুর ওয়ার্ড বয় হারুন অর রশিদ নিজেই নিজের জখম করে সুন্দরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাই ও মাকে নিয়ে ভর্তি হন। মেডিকেলের স্টাফ হওয়ায় সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে ওই দিন সন্ধ্যা বেলায় বাড়িতে গিয়ে নিজের ওষুধের দোকান থেকে সব ওষুধ সরিয়ে ফেলে। পরে গভীর রাতে ওই দোকানে আগুন লাগিয়ে দিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনার ২দিন পর ১৯ এপ্রিল ১১ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মিথ্যা মামলায় এলাকাবাসি স্বাক্ষি দিতে অস্বীকৃতি জানার কারণে অন্য এলাকার লোকজনকে স্বাক্ষী করে মামলা সাজায়।
হারুন সুন্দরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থানীয় ভাবে দীর্ঘদিন থেকে চাকরি করায় রোগীদের সাথে প্রায়ই অনাকাঙ্খিত আচরণ করে থাকে। পাশাপাশি সে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হওয়ায় ধরাকে সড়া জ্ঞান করে বিভিন্ন সময় মানুষকে ভয়ভীতি হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে বলে জানান তার এক প্রতিবেশি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট এলাকাবাসির জোর দাবি তাকে খুব শিঘ্রই অন্যত্র বদলী করে সুন্দরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে প্রভাব মুক্ত করা হোক। সব মিলে ওয়ার্ডবয় হারুন অর রশিদের বেপরোয়া আচারণে অতিষ্ঠ এলাকাবাসি।