গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের কিশামত দশলিয়া গ্রামের হতদরিদ্র গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার আসামী চয়ন চন্দ্রকে (২৫) গ্রেফতার ও সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাদুল্যাপুর-নলডাঙ্গা পাকা সড়কের ধারে কিশামত দশলিয়া গ্রামে মানববন্ধবন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নজরুল ইসলাম, ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বর রশিদুল ইসলাম, ইসলাম মিয়া, রঞ্জু শেখ ও আশরাফুল মিয়া প্রমূখ।
বক্তারা জানান, প্রায় দুই বছর থেকে কিশামত দশলিয়া গ্রামের শ্যামল চন্দ্রের বাড়ীতে ঝি এর কাজ করতো একই গ্রামের হত দরিদ্র রহিমা খাতুন (২০)। কাজের সুবাদে শ্যামল চন্দ্রের বড় ভাই অমল চন্দ্রের ছেলে চয়ন চন্দ্র রহিমা খাতুনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে তারা শারীরিকভাবে মেলামেশা করে। সম্প্রতি বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে রহিমা বিয়ে করার জন্য চয়নকে চাপ দেয়। কিন্তু চয়ন তাকে বিয়ে করতে নানা তালবাহনা করতে থাকে। ফলে রহিমা তার সঙ্গ ত্যাগ করে।
পরবর্তী আবারও চয়ন গত ১২ মার্চ রাতে রহিমার বাড়ীতে এসে তাকে বিবাহ করবে মর্মে সঙ্গে করে বাড়ীতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ শেষে জোরজবস্তি করে রহিমাকে তার বাড়ীতে রেখে যাওয়ার সময় তার চিৎকারে এলাকাবাসী চয়নকে আটক করে। এনিয়ে পরদিন ১৩ মার্চ এলাকায় সালিস দরবারের নামে স্থানীয় প্রভাবশালীরা চয়নকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। এ ঘটনার পর দিনের পর দিন অতিবাহিত হলেও অসহায় রহিমা এলাকায় কোন বিচার না পেয়ে অবশেষে গত ২৮ মার্চ চয়নের বিরুদ্ধে সাদুল্যাপুর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
বক্তারা আরও বলেন, মামলা দায়ের করার দুই সপ্তাহ পার হলেও পুলিশ আসামী গ্রেফতার করছেন না। উল্টো মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রনি কুমার দাস বাদিনীকে বিভিন্ন সময় বকাবকি করছেন। এছাড়া এই মামলার স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে চয়নের কাকা শ্যামল চন্দ্র থানায় মিথ্যা ছিনতাই মামলা দায়ের করেছেন। এলাকাবাসী এই বিষয়ে উর্ধতন পুলিশ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
মামলার বাদিনী রহিমা খাতুন জানান, এখনও চয়ন তাকে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন জায়গায় ডাকে। তিনি চয়নকে গ্রেফতার ও ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) রনি কুমার দাস বকাবকির করার কথা অস্বীকার করে জানান, মামলার আসামীকে গ্রেফতার করতে একাধিকবার অভিযান চালানো হয়েছে। এখনও চেষ্টা অব্যাহত আছে।