বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার্থে সবকিছু করা হবে। তৈরী পোশাক খাতে দেশের ৪৫ লাখের বেশি শ্রমিক কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর শিল্প কারখানার শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। শ্রমিকরা এখন উপযুক্ত বেতনে, নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে কারখানায় কাজ করছে।
আজ ঢাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট অডিটরিয়ামে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস-২০১৭ উপলক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
“শোভন কর্ম পরিবেশ, এগিয়ে যাচ্ছে বাংরাদেশ” শীর্ষক এই আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএর সভাপাত মো. সিদ্দিকুর রহমান, কারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সামসুজ্জামান ভূঁইয়া, ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত বেনোইট পিয়ারি লারামি, ঢাকায় নিযুক্ত আইএলও এর কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রীনিভাস বি রিডি, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি সুক্কুর মাহমুদ।
তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সংবিধানে মেহনতি মানুষের স্বার্থ সুরক্ষা করেছেন। ১৯৭২ সালের ২২ জুন বাংলাদেশ আইএলও-এর সদস্য পদ লাভ করেছে। আজ তারই সুযোগ্যা কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করেই দেশ পরিচালনা করছেন।
তিনি বলেন,২০০৯ সালে যেখানে শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরি ছিল মাত্র ১৬০০ টাকা সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে ২০১৩ সালে শ্রমিকদের বেতন ২২৩ ভাগ বৃদ্ধি করে ন্যুনতম ৫,৩০০ টাকা করা হয়েছে। শ্রমিকরা সরকারি চাকুরিজীবীদের মতো প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধির সুবিধা পাচ্ছেন।
মন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের মেহনতের কারণেই আজ আমাদের দেশের অর্থনীতির এ উন্নতি হয়েছে। গতবছর আমাদের রপ্তানি ছিল ৩৪.২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর ৮১ ভাগই এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে।
বানিজ্যমন্ত্রী বলেন, অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার সময় হতাহতের দৃশ্য দীর্ঘদিন প্রচারমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। ফলে এর বিরুপ প্রতিক্রিয়া তৈরি পোশাক ক্রেতাদের মধ্যে পড়েছে। আমাদের সবাইকে দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করতে হবে। দেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো ইতোমধ্যে কম্পলায়েন্স করা হয়েছে। পুরাতন কারখানার বদলে নতুন আধুনিক গ্রীন ফ্যাক্টরি তৈরী করা হয়েছে। শ্রমিকরা এখন নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে কাজ করছে। শ্রমিকদের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করতে তৈরি পোশাকের মূল্য বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পরে মন্ত্রী ঢাকার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত সদস্যভুক্ত প্রয়াত সাংবাদিকদের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানী, অর্থ সম্পাদক মানিক মুন্তাসির, যুগ্ম সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন এবং অনুষ্ঠানের সহযোগি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বিলবোর্ড ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ।সূত্র- বাসস