1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৫০ অপরাহ্ন
২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
পলাশবাড়ী পৌরশহরের আমবাড়ীতে পৌর যুবদলের নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত পলাশবাড়ীতে উপজেলার নাগরিক সংগঠনের ত্রৈমাসিক সভা হাসিনার ফাঁসির রা‌য়ে তারাগঞ্জে ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১: শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড, মামুনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড তারাগঞ্জে নবীনবরণ, বিদায় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পলাশবাড়ীর কিশোরগাড়ী ইউনিয়নে “ভুয়া দরপত্রের মাধ্যমে গাছ বিক্রি” শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রতিবাদ গাইবান্ধার পুলিশ সুপার নিশাত এ্যঞ্জেলা বদলী : নতুন পুলিশ সুপার সারওয়ার আলম ফুলছড়িতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে দুইজন আটক পোশাকের রং বদলায়, কিন্তু বদলায় কি পুলিশের আচরণ? গাইবান্ধায় এনসিপির মনোনয়ন ফরম তুলেছেন যারা

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অর্থ আমৃত্যু কারাদণ্ড: আপিল বিভাগ

  • আপডেট হয়েছে : মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৭
  • ৩৪ বার পড়া হয়েছে

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিষয়ে স্পষ্ট করে দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগ তার এক রায়ে জানিয়েছে, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অর্থ আমৃত্যু কারাদণ্ড। তাই কোনো মামলায় আপিল বিভাগ বা হাইকোর্ট বিভাগ যদি মৃত্যুদণ্ডের সাজা পরিবর্তন করে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন তবে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে স্বাভাবিকভাবে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত কারাভোগ করতে হবে।

সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির স্বাক্ষরের পর সুপ্রিম কোর্টের ওয়েব সাইটে এ সংক্রান্ত ৯২ পৃষ্ঠার রায়ের একটি পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়। আদালত তার রায়ের কপি পাওয়ার পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অন্যান্য আসামিদের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র সচিব ও কারা মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পনেরো বছর আগে সাভারে সংঘটিত জামান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়ে আপিল বিভাগের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ কথা বলা হয়েছে। এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জামান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আবেদন খারিজ করে রায় দেন আদালত।

এর আগে জামাল নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে আতাউর মৃধা ও আনোয়ার হোসেনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন ও মনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। শুনানি শেষে আদালত আসামিদের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন।

আপিল বিভাগ থেকে প্রকাশ করা পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা অনুযায়ী দোষী ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে দণ্ড হবে এটাই বিধান। এক্ষেত্রে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডটা হচ্ছে ব্যতিক্রম। যখন এ ধরনের পরিস্থিতিতে কাউকে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়, তখন অবশ্যই এর কারণ উল্লেখ করতে হয়।

দণ্ডবিধির ৫৩ ধারা অনুযায়ী যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের অর্থ ৪৫ ধারার সঙ্গে মিলিয়ে পড়তে হবে। সেক্ষেত্রে দেখা যায় যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাদণ্ড।

রায়ে বলা হয়, যদি হাইকোর্ট বিভাগ বা এই আদালত (আপিল বিভাগ) মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করেন তখন এবং নির্দেশ দেন যে, তার স্বাভাবিক মৃত্যু পর্যন্ত এই কারাদণ্ড ভোগ করবে, তখন এ ধরনের মামলায় সাজা কমানোর আবেদন গ্রাহ্য হবে না। দণ্ডবিধির ৫৭ ধারা সেখানেই প্রযোজ্য হবে, যেখানে সর্বোচ্চ দণ্ড হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের বিধান যদি করা হয়, তখন সাজার ভগ্নাংশ গণনা করাটা অসম্ভব হয়ে পড়বে।

সাজা কমানোর (রেয়াদ প্রদান) ক্ষেত্রে কারাবিধি প্রশাসনিক আদেশ হিসেবে বিবেচিত। মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মামলায় কোনো আদালত বিচারের প্রাথমিক পর্যায়ে আসামি যদি দোষ স্বীকার করে, সেক্ষেত্রে সাজা দেওয়ার ক্ষেত্রে আদালত বা ট্রাইব্যুনাল নমনীয় দৃষ্টিতে দেখতে পারে। কিন্তু এ ধরণের মামলায় আদালতকে নিশ্চিত হতে হবে আসামি জেনে বা বুঝে দোষ স্বীকার করেছে কিনা।

আদালত মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন দণ্ড দিতে বাধ্য থাকবে না এবং এই আদালত (আপিল বিভাগ) বা হাইকোর্ট বিভাগ কোনো সাজা দিলে তা ক্ষমা করা, বাতিল করা বা দণ্ড কমানো বা সাজা কার্যকরে বিলম্ব করতে সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতা রাষ্ট্রপতি প্রয়োগ করতে পারবেন।

আইনবিদরা বলছেন, বাংলাদেশের বিচারিক ইতিহাসে এটিই বোধহয় ফৌজদারি মামলায় প্রথম কোনো আসামিদের আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায়। এর আগে কোনো ফৌজদারি বা হত্যা মামলায় কোনো আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়নি।

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে সরকার বিগত ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিল। সেই ট্রাইব্যুনাল বেশ কয়েকজন মানবতাবিরোধী অপরাধীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন। এই ট্রাইব্যুনালে প্রচলিত ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে বিচার করা হয়নি।

১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন অনুসারে ট্রাইব্যুনাল নিজস্ব ক্ষমতাবলে যুদ্ধাপরাধী বা মানবতাবিরোধী আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দেন বলে জানান বিশেষজ্ঞ কৌঁসুলিরা। ২০১৪ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আপিলে জামায়াতে ইসলামী নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ড হয়েছিল।

জানা যায়, ২০০১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সাভারে জামালকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০০৩ সালে ঢাকার একটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আসামি কামরুল, আতাউর ও আনোয়ারকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে কামরুল পলাতক থাকায় আতাউর ও আনোয়ার হাইকোর্টে আপিল করেন। একই সঙ্গে ট্রাইব্যুনাল থেকে এ মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এ ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০০৭ সালের অক্টোবরে হাইকোর্ট তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।

এ রায়ের বিরুদ্ধে কারাবন্দি আতাউর ও আনোয়ার আপিল বিভাগে আপিল করেন। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ আতাউর ও আনোয়ারকে আমৃত্যু কারাবাস দেন।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft