মঙ্গলবারই আচমকা অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন মাশরাফি বিন মতুর্জা। এরপর থেকেই নানা জল্পনা-কল্পনা কে হবেন মাশরাফির উত্তরসূরি? বুধবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন একভাবে পরিষ্কার করেই দিলেন এক্ষেত্রে এগিয়ে আছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
অবশ্য মঙ্গলবারও একইরকম ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি। বুধবার একই কথা বললেও ব্যাপারটি নিশ্চিত করতে চাননি তিনি। কলম্বোর হোটেল তাজ সমুদ্রে পাপন এর পেছনে ব্যাখ্যা দিয়েছেন এভাবে, ‘আসলে এখনই সব কিছু চূড়ান্ত বলা সম্ভব নয়। বোর্ড সভা শেষেই আমরা চূড়ান্ত কিছু জানাতে পারবো।’
তবে সাকিব ছাড়াও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অধিনায়কত্বের দৌড়ে রয়েছেন আরও কয়েকজন। তবে বাকিদের চেয়ে সব দিক থেকে এগিয়ে আছেন সাকিবই। পাপন নিজেই জানালেন এভাবে, ‘আমাদের ৫জন সিনিয়র ক্রিকেটার রয়েছেন। এদেরকেই বিবেচনায় রাখা আছে। মুশফিক টেস্টে, মাশরাফি তো ওয়ানডে অধিনায়ক। বাকি থাকে তামিম, সাকিব আর মাহমুদউল্লাহ। তবে মাহমুদউল্লাহর যে ফর্ম তাতে সাকিবই সব দিক থেকে এগিয়ে। কারণ এই ফরম্যাটের জন্য সাকিবই অনেক চৌকস।’
মাশরাফির অবসর প্রসঙ্গে পাপন নিজের অভিব্যক্তি জানিয়েছেন এভাবে, ‘আসলে মাশরাফির বিকল্প কোনওভাবেই হয় না। তবে এরকম কিছু একটা আগেই ঠিক ছিল কিন্তু সিদ্ধান্তটা হুট করেই এসেছে।’
সাকিব এর আগেও বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব করেছেন। মাশরাফি থাকাকালে টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মাত্র ৪ ম্যাচে। ২০০৯ এবং ২০১০ সালে ওই চার ম্যাচের কোনওটিতেই জিততে পারেনি বাংলাদেশ। যদিও এই চারবারই মাশরাফির ইনজুরিতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাকিব। সাকিবকে নিয়ে শঙ্কা একটাই। নিউজিল্যান্ড সফর শেষে বোর্ড সভাপতি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘সাকিব অধিনায়কত্ব নিতে আগ্রহী নন।’