বিচারক নিয়োগের নীতিমালা সংক্রান্ত রিট পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বিষয়টি নিষ্পত্তি করে আজ এই আদেশ দেয়।
রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ পেলে পর্যবেক্ষণে কি কি উল্লেখ রয়েছে তা জানা যাবে।
এর আগে গত বছরের ২৮ আগস্ট বিচারক নিয়োগের নীতিমালার ওপর জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান রাখে আদালত। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হাসান এম এস আজিম।
বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যক্তি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দিক-নির্দেশনা প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে ২০১০ সালের ৩০ মে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী রাগিব রউফ চৌধুরী এ রিট দায়ের করেন।
এ রিটের শুনানি নিয়ে ২০১০ সালের ৬ জুন একটি ডিভিশন হাইকোর্ট বেঞ্চ সুপ্রিমকোর্টে বিচারক নিয়োগে বাছাই প্রক্রিয়ায় ‘স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা’ আনতে কেন সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা তৈরি করা হবে না, তা জানাতে রুল জারি করে।
আইনজীবী হাসান এম এস আজিম সাংবাদিকদের বলেন, ব্যক্তি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা আনতে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে, যাতে সকলে অংশ নিতে পারেন।
পরে রিট মামলাটি শুনানিতে সাতজন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেয়া হয়। তারা হলেন- বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, আজমালুল হোসেন কিউসি, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও এ এফ হাসান আরিফ। বিষয়টির ওপর তারা তাদের মতামত দেন।সূত্র- বাসস