পেটে গ্যাস জমে আছে। নানা রকম আওয়াজ হয়। কখনো কখনো পায়ুপথ দিয়ে বাতাস বেরোয়। এগুলো খুবই বিব্রতকর সমস্যা। ইংরেজিতে এ সমস্যার নাম ফ্ল্যাটুলেন্স। অত্যধিক গ্যাস জমার ফলেই এমন হয়। অনেকেই এ সমস্যায় ভোগেন। আর এ জন্য তাঁদের প্রায়ই অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। সমাধানের কয়েকটি উপায় জেনে রাখুন:
* ধূমপান বাদ দিন, কারণ এটা পেটের সমস্যা বাড়ায়। অতিরিক্ত কফিও বর্জন করুন। তবে লক্ষ রাখবেন, একেকজনের শরীর একেক খাবারে ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়। এটা আপনাকেই খেয়াল করতে হবে, কোন খাবারটা আপনার সমস্যা বাড়াচ্ছে। অনেকে এ জন্য শাকসবজি ও দুধ একেবারেই বাদ দিয়ে দেন। আগে দেখে নিন এগুলো সমস্যা বাড়াচ্ছে কি না।
* একবারে বেশি খাবার না খেয়ে সারা দিনে অল্প অল্প করে খান। সারা দিনের খাবারটাকে ছয় ভাগে ভাগ করুন। নিয়মিত ব্যায়াম ও শারীরিক পরিশ্রম হজমে সহায়তা করে, গ্যাস জমা কমায়। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করুন। শরীরের ওজন কমান। আদা বা পুদিনা দেওয়া চা বা পানীয় এ ধরনের সমস্যা কমাতে সহায়ক।
* পরিপাক হয় না, এমন কিছু শর্করা ও আঁশজাতীয় খাবার ঠিকমতো হজম না হওয়ার কারণেই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এ রকম সমস্যা হয়। একেকজনের একেক খাবার সহ্য হয় না। তাই সেগুলো এড়িয়ে চলুন। যেমন: প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফলমূলের খোসা, সবজির খোসা ইত্যাদি। কৃত্রিম চিনি, চিনিযুক্ত চুইংগাম ও মিষ্টি পানীয় অবশ্যই এড়িয়ে চলবেন। কারণ, এগুলো আপনার পেটের সমস্যা বাড়াবে। সহজে হজমের উপযোগী শর্করা বেছে নিন। যেমন: ভাত, আলু, কলা, পেঁপে ইত্যাদি।
* আজকাল প্রোবায়োটিকের কথা বলা হচ্ছে। প্রোবায়োটিক উপাদানসমৃদ্ধ দুধও বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এগুলো পেটের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়াযুক্ত খাবার। তবে প্রোবায়োটিক উপাদান আপনি দইয়ের মধ্যেই পেয়ে যাবেন। তাই খাবারের পর একটুখানি টক দই খাওয়ার অভ্যাস করুন।