খবরবাড়ি ডেস্কঃ প্রচন্ড ইচ্ছা শক্তিই মানুষকে বড় লোকে পরিণত করে। প্রতিভার বিকাশ ঘটায়। মেধা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আলোকিত মানুষের স্বীকৃতি পাওয়া যায়। গোবরেও পদ্ম ফুলের জন্ম হয়। ছাঁইয়ের ভেতরেও সোনা মেলে। এমন উজ্জ্বল উদাহরণ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা সদরের গৃধারীপুর গ্রামের কৃষক পরিবারের কৃতি সন্তান সাব্বির হোসেন সবুজ। তার পিতা শফিকুল ইসলাম। তিনি একজন অভাবী কৃষক। আর মাতা বিউটি বেগম গৃহিনী। উভয় দস্পতির মেধাবী পুত্র সাব্বির হোসেন সবুজ গত ২২ মার্চ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনার হাত থেকে স্বর্ণপদক গ্রহণ করে গাইবান্ধা জেলার মুখ উজ্জ্বল ও আলোকিত করেছেন। ওই দিন তারিখে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ৪র্থ বারের মত দেশের বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের বিভিন্ন অনুষদে সর্বোচ্চ সিজিপিএ প্রাপ্ত ২’শ ৩৩ জন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীকে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক প্রদান করেন। এই পদক প্রাপ্তদের মধ্যে পলাশবাড়ীর মেধাবী মুখ সাব্বির হোসেন সবুজ অন্যতম প্রতিভার অধিকারী। তিনি দিনাজপুর হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ সিজিপিএ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী হিসেবে এই স্বর্ণপদক লাভ করেন।
তার জীবন বৃত্তান্তের তথ্যে জানা যায়, অভাবী কৃষক পরিবারের এই মেধাবী ছাত্রের জন্ম ১৯৯০ সালের ১০ জানুয়ারিতে। প্রচন্ড ইচ্ছা ও মেধা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সাব্বির হোসেন সবুজ পলাশবাড়ীর গৃধারীপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৬ সালে এসএসসি, পলাশবাড়ী আদর্শ ডিগ্রী কলেজ থেকে ২০০৮ সালে এইচএসসি, দিনাজপুুরের হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৩ সালে ডিভিএম এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৬ এমএস পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে সিজিপিএ তালিকায় মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে স্বর্ণপদক লাভ করেন। বর্তমানে তিনি এমএস ডিফেন্স কোর্স শেষে ফলাফলের অপেক্ষা করছেন এবং অবকাশ সময়ে সুপারভাইজারদের তত্ত্বাবধানে রিসার্চ ও থিসিসের কাজে মনোযোগী হয়েছেন। তার ইচ্ছা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ও একজন ভালো মানের গবেষক হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।