
খবরবাড়ি ডেস্কঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে মোটরসাইকেল সড়ক দূর্ঘটনায় সাবেক ভিপি রাশেদ (৩৬) নিহত ও তার বন্ধু লিটন (৩৬) গুরুতর আহত হয়েছেন। দূর্ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে পলাশবাড়ী সদরের গাইবান্ধা রোডে আম্বিয়া ক্লিনিকে সামনে। পুলিশ ঘাতক পিকআপসহ চালককে আটক করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধা জেলা সদরের ৫৭, প্রফেসর কলোনীর মৃত আতাউর রহমান মন্ডল-রোকেয়া বেগম দম্পতির ছেলে ও গাইবান্ধা সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি এবং জেলা বঙ্গবন্ধু প্রজন্মলীগ সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ বিল্লাহ রাসেদ ও পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম লিটন মোটরসাইকেল যোগে গাইবান্ধা যাচ্ছিলেন। একই সময় আলু ভর্তি একটি পিকআপ গাইবান্ধার দিকে যাচ্ছিল। এসময় পলাশবাড়ী-গাইবান্ধা সড়কে সদরের অদূরে আম্বিয়া ক্লিনিকের সামনে কুকুরকে এরিয়ে যাবার সময় চলন্ত মোটরসাইকেলটি চলন্ত পিকআপের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই রাসেদ নিহত হন। তার পিছনে থাকা অপর বন্ধু লিটন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা দূর্ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এখানে কতর্ব্যরত চিকিৎসক ভিপি রাসেদকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত লিটনকে চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালে হানান্তর করা হয়। এদিকে, ভিপি রাসেদের নিহতের খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ আসনের এমপি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র এ্যাড. শাহ্ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন, কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু প্রজন্মলীগ সহ-সভাপতি সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ, পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু বকর প্রধান, সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ শামিকুল ইসলাম সরকার লিপনসহ সহযোগি অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, নিহতের পরিবারের সদস্যরা ও বন্ধু-বান্ধব ছাড়াও আত্মীয়-স্বজনরা নিহতকে এক নজর দেখার জন্য রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। কখন-কোথায় নিহত রাসেদের নামাজে জানাযা হবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তা জানা যায়নি।