গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ খুনের অভিযোগ থেকে রক্ষা পেতে পাল্টা মিথ্যা খুনের মামলাসহ নানা হুমকি ধামকি ও আইনী জটিলতায় পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের মাহাবুব আলম ও তার অসহায় পরিবার দিশেহারা হয়ে এখন বাড়ি থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এব্যাপারে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক লিখিত আবেদনে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করেছে ওই অসহায় পরিবারটি।
অভিযোগে জানা গেছে, পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামে গত ২২ মার্চ রাতে খুন হয় সাবেক ইউপি সদস্য মাহমুদুল হক। এ সময় নিহতের চিৎকারে আশেপাশের মানুষ এসে দুই খুনিকে আটক করে। পরে তাদের পলাশবাড়ী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী হাসেনা বেগম বাদী হয়ে একই গ্রামের ৫ জনকে আসামি করে পলাশবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
হত্যাকান্ডের পরদিন ওই হত্যা মামলার আসামী রফিকুল ইসলামের বাবা আবুল কাশেম (৭৫) অসুস্থ অবস্থায় গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে মারা যায়। তখন সাবেক ইউপি সদস্য মাহমুদুল হক খুনের আসামী রফিকুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে করা হত্যা মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন লোকজনের মাধ্যমে হাসেনা বেগমের পরিবারের কাছে প্রস্তাব পাঠায়। তা না হলে তার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে বলে মামলা করার হুমকি দেয়। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রফিকুলের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম নিহত সাবেক ইউপি সদস্য মাহমুদুল হকের ছোট ভাই মাহাবুব রহমানসহ ৭ জনকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। নিহত মাহমুদুল হকের মেয়ে মাহমুদা আকতার জানায়, তার ছোট বোন মাছুমা আকতার স্কুল যাওয়া-আসার পথে শফিকুল ও তার লোকজন অব্যাহত ভাবে বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি দেখায়।
এব্যাপারে পলাশবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক নাজমুল হক সুত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক তদন্তে নিহত আবুল কাশেমের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালের আরএমও ডা. শাহীনুল ইসলাম মন্ডল জানান, ময়না তদন্তের প্রাথমিকভাবে প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। ঢাকায় প্রেরিত ভিসেরা রিপোর্ট আসার পরই তখন এই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে এবং ময়না তদন্তের চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা সম্ভব হবে।