গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে থানা পুলিশ হেফাজতে এক ডাকাতের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে পলাশবাড়ী-গাইবান্ধা সড়কের সাকোয়া ব্রীজ নামক স্থানে ডাকাতি সংঘটিত করার প্রস্তুতিকালে স্থানীয় জনতা ডাকাতদলের চার সদস্যকে হাতে-নাতে আটক করে। পরে স্থানীয়রা আটককৃত চার ডাকাতকে গণধোলাই দিয়ে টহল পুলিশের কাছে সোর্পদ করে। পুলিশ ভোর ৫টায় আটক ডাকাতদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের থানায় নিয়ে আসে। থানা পুলিশ আটক চার ডাকাতদের মধ্যে গুরুতর আহত আবু বক্কর সিদ্দিককে (৩৫) শনিবার দুপুর ২টা ৪০মিনিটে পুনরায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গিলে তার মৃত্যু হয়। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তনয় কুমার জানান, মৃত অবস্থায় পুলিশ আবু বক্কর সিদ্দিককে হাসপাতালে নিয়ে আসে। নিহত আবু বক্কর সিদ্দিক গোবিন্দগঞ্জ থানার কালিতলা দক্ষিণ মিরুপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। আটককৃত অপর তিন ডাকাত একই উপজেলার কালিতলা বাজারের মৃত খোরশেদের ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৮), কালিতলার গোপিনাথপুর গ্রামের মৃত জহরুলের ছেলে লাল মিয়া (২০) ও পলাশবাড়ী উপজেলার সাকোয়া মাঝিপাড়া গ্রামের অপছেল ব্যাপারীর ছেলে আইয়ুব আলী (৪৫)। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ২০ জন ও অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামী করে থানায় একটি ডাকাতির মামলা দায়ের করেন।
আটককৃত চার ডাকাতের মধ্যে আবু বক্কর সিদ্দিকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল আলম জানান, শুক্রবার রাতে সাকোয়া ব্রীজের কাছে ডাকাতি প্রস্তুতিকালে স্থানীয় জনগণের গণপিটুনীতে তারা আহত হয়। পরে তাদের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। আহতদের মধ্যে আবু বক্কর সিদ্দিক গুরুতর অসুস্থ্য হলে পুনরায় হাসপাতালে নেয়ার পথে শনিবার দুপুরে তার মৃত্যু ঘটে। নিহত ডাকাতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য গাইবান্ধা আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।