গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের দরবস্ত ইউনিয়নের বগুলাগাড়ী,গন্ধববাড়ী, মিরুপাড়া, চরকতলা, গোপিনাথপুর গ্রামে ৫০০হেক্টর জমির ধানের ব্লাস্ট(ধানের গিটপচাঁ,শীষের গোড়াপচাঁ) রোগে আক্রান্ত হয়ে ধানের শীষ চিটা হয়ে গেছে।
এ এলাকার শত-শত কৃষকের জমির ধান সাদা শীষ চিটা হয়ে সর্বশান্ত হয়ে তাদের মাথায় হাত পড়েছে।এ খবর শুনে সাংবাদিকরা সরেজমিনে গেলে দেখা যায়,শত-শত কৃষকের জমির ধানের শীষ সাদা হয়ে পাতান হয়ে গেছে।তারা শুধুজমির দিকে ফেল ফেল করে তাকিয়ে আছে।
বগুলাগাড়ী গ্রামের কৃষক নাজিম উদ্দিন জানান,তার ৮বিঘা জমির সমস্ত ধানের শীষ চিটা হয়ে গেছে।সে সাদা ধানের শীষ গুলিতে কোন চাল নেই।একই এলাকার কৃষক রঞ্জু মিয়া জানান,গতকাল সকালে দেখলাম আমার ধানের দু-একটা শীষ সাদা ভাবলাম আগামীকাল কীট নাষকের দোকানে গিয়ে পরামর্শ নিয়ে কীট নাষক দেব,আজ দেখছি আমার ৫ বিঘা ২৮জাতের ধানের জমির শীষ গুলি সাদা পাতান হয়ে গেছে।কি করবো ভেবে পাচ্ছি না।শুধু মাথায় হাত দিয়ে ভাবছি কি করবো।
কৃষক সিরাজ মিয়া জানান,আমার সমস্ত ধানের শীষ চিটা হয়ে গেছে।আমাদের এখানে কৃষি অফিসের কোন বি এস কখনো আসেন না।কীষ নাষকের দোকানদার আমাদের একমাত্র ভরসা।তাদের পরামর্শ নিয়ে ধান চাষ করে আসছি।কিন্ত এবার ধানে কি যে রোগ ধরেছে ওষুদ দিয়ে কাজ হচ্ছে না।সবার ধানের শীষ চিটা হয়ে গেছে।আমাদের এ এলাকার ৫০০হেক্টরের বেশী জমির ধানের শীষ সাদা পাতান হয়ে যাওয়ায় শত-শত কৃষক সর্বশান্ত হয়েছে। নিরুপায় হয়ে কষকরা এখন রোগে আক্রান্ত এই ধানের গাছ গুলি কেটে গো-খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করছে।
এ খবর পেয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ছাহেরা বানু(অসুস্থ্য)জনিত ছুঁটিতে থাকায় কৃষি অফিসের(ভারপ্রাপ্ত)কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের মাধ্যমে দ্রুত ওই এলাকায় দু-জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের পাঠান।এ বিষয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুভাস চন্দ্র বর্মন ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষেত গুলি পরিদর্শন করে বলেন,ব্লাস্ট রাগে আক্রান্ত হয়েছে এ এলাকার ধানের ক্ষেত গুলি।আমরা এই রোগের জন্য ট্র্রুপার৭৫ডচ বিঘা প্রতি ৫৪ গ্রাম অথবা নাটিভো ৭৫ডএ বিঘা প্রতি৩৩ গ্রাম ভালভাবে স্প্রে করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি।এ ব্লকে কোন বিএস নেই।বেশ কিছু দিন ধরে এই ব্লকে বিএস এর পদ ফাঁকা রয়েছে।এদিকে সম্প্রতি বৃষ্টিপাতে দু-তিন দিন তলিয়ে থাকা ধান গুলিতেও ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে।অনেক কৃষকের ধান পঁচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।এসব কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।