1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৯:৪০ পূর্বাহ্ন
১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৬ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
পলাশবাড়ীতে কিশোরগাড়ীর কাশিয়াবাড়ী শ্রম কল্যাণ উপ-কমিটিগঠন উপলে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা গাইবান্ধায় সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস পালন অধিকার প্রতিষ্ঠা ও নিপীড়ন বন্ধের দাবী মাসব্যাপী দেশ গড়তে ‘জুলাই পদযাত্রা’ নামে কর্মসূচি উপলক্ষে গাইবান্ধায় সমাবেশ -উপস্থিত থাকবেন এনসিপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ পলাশবাড়ী পৌরসভায় যুক্ত হলো মাটি খননকারী একটি নতুন আধুনিক যন্ত্র তারাগঞ্জে ঢেউটিন ও নগদ অর্থ সহায়তা পলাশবাড়ী পৌরসভার বাজেট ঘোষণা: অর্ধেকেরও কমে নেমে এলো বাজেট! পলাশবাড়ীর বেতকাপা ইউনিয়নে রোহিঙ্গাদের জন্ম নিবন্ধন: তদন্তে মিলছে না অস্তিত্ব! তারাগঞ্জে গ্রামীণ অবকাঠামো প্রকল্পে অনিয়ম বসুন্ধরা শুভসংঘের কমিটি গঠন উপলক্ষে পলাশবাড়ীতে আলোচনা সভা এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবসের সমাবেশে ঐতিহ্য ও ভূমির অধিকার রক্ষার দাবী

গাইবান্ধায় ধর্ষণ চেষ্টা মামলার মুল আসামির পরিবর্তে কারাভোগ করছেন রিক্সা চালক মোজাফফর

  • আপডেট হয়েছে : সোমবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৭
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার একটি ধর্ষণ মামলার মুল আসামির পরিবর্তে গত নয়দিন ধরে কারাভোগ করছেন অন্যজন। তার বাড়ি ওই উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের নলছিয়া গ্রামে। তিনি মৃত ছিদ্দিক বেপারীর ছেলে রিকশাচালক মোজাফফর রহমান। আর মুল আসামী হচ্ছেন একই গ্রামের নজরুল ইসলাম। ঘটনাটি স্থানীয় সাংবাদিকদের নজরে আসে সোমবার দুপুরে।

যমুনা নদী সংলগ্ন নলছিয়া গ্রামের দূরত্ব গাইবান্ধা শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার। পাকা রাস্তা পেরিয়ে গ্রামের কাঁচা মেঠোপথ দিয়ে যেতে হয় মোজাফফর রহমানের বাড়িতে। নদী থেকে তার বাড়ির দূরত্ব মাত্র কয়েকশ গজ। সেই বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, মোজাফফরের মা, স্ত্রী ও ছেলেরা কান্নাকাটি করছেন। মোজাফফর  রহমানের তিন ছেলে, স্ত্রী ও বৃদ্ধা মাকে নিয়ে ছয় সদস্যের সংসার। বড়ছেলে সেলিম মিয়া এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। দ্বিতীয় ছেলে সৈকত আহম্মেদ নবম এবং ছোটছেলে শাহাদত প্রথম শ্রেণিতে পড়ে।

মোজাফফরের স্ত্রী সেলিনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বললেন, আমার স্বামী ঢাকার মগবাজারে প্রায় ১০ বছর ধরে রিকশা চালায়। দুই-তিন মাস পরপর বাড়িতে আসেন। এসে কয়েকদিন থাকেন। তারপর আবারও চলে যান। যখন বাড়িতে থাকেন তখন তিনি নদীতে মাছ ধরেন। একদিন কাজ না করলে চুলায় ভাতের হাড়ি ওঠেনা। তিনি বলেন, নজরুলের ভাই মজনু মিয়া ফুসলিয়ে তাকে আদালতে নিয়ে যায়। আমরা এর বিচার চাই। এসময় মোজাফফরের বৃদ্ধা মা মজিদা বেগম বলেন, তোমরা হামার ছোলোক আনি দ্যাও। তার কোনো দোষ নাই।

এখান থেকে মামলার বাদি চামুলি খাতুনের বাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলা হয়। তিনি জানান, আমি নজরুল ইসলামকে একমাত্র আসামি করে মামলা করি। অথচ মজনু মিয়া মামলা থেকে ভাইকে বাঁচানোর জন্য মোজাফফরকে ফাসিয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় আসামি নজরুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসি জানায়, নজরুলের নামে মামলার পর থেকে তার বাড়ির সবাই গাঢাকা দিয়েছে।

মামলার বাদিপক্ষের আইনজীবী আবু বকর সিদ্দিক জানান, মোজাফফরকে গত ১০ এপ্রিল নজরুল ইসলাম সাজিয়ে গাইবান্ধা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। পরদিন ১১ এপ্রিল পুনরায় একই আদালতে জামিনের আবেদন জানানো হলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

এদিকে জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে মোজাফফর রহমানের সঙ্গে কথা বলা হয়। মোজাফফর জানান, আমি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় রিকশা চালাই। ছেলের এইচএসসি পরীক্ষার কারণে গত ১ এপ্রিল বাড়িতে আসি। এরপর গত ১০ এপ্রিল নজরুল ইসলামের বড়ভাই মজনু মিয়া আমাকে বলেন, তোমার নামে মামলা হয়েছে। তোমাকে গাইবান্ধায় আদালতে যেতে হবে। শুনে আমি হতবাক হয়ে পড়ি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে গাইবান্ধা আদালতে আনে। তিনি আমাকে শিখিয়ে দেন, মামলায় নজরুল ইসলাম লেখা আছে, পিতার নাম আছে মইচ উদ্দিন। তুমি আদালতে তোমার নাম নজরুল ও পিতার নাম মইচ উদ্দিন বলবে। তারপর আমাকে কারাগারে পাঠানো হয়। আমি কোনো অপরাধ করিনি, আমার নামে কোনো মামলা আছে বলেও আমার জানা নেই। অথচ সেদিন (১০ এপ্রিল) থেকে আমি কারাগারে আছি। মোজাফফর আরও বলেন, ভোটার আইডি কার্ডে আমার নাম মোজাফফর রহমান ও আমার পিতার নাম মৃত ছিদ্দিক বেপারী লেখা। আমার গ্রামের নাম নলছিয়া।

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর দুপুরে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার নলছিয়া গ্রামের ইব্রাহিম মন্ডলের আট বছরের শিশুকন্যাকে একই গ্রামের মৃত মইচ উদ্দিন শেখের ছেলে নজরুল ইসলাম ধর্ষণের চেষ্টা করে। এই ঘটনায় শিশুর মা চামুলি খাতুন ২০১৬ সালের ৩ জানুয়ারি সাঘাটা থানায় মামলা করতে যান। কিন্তু থানায় মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে শিশুটির মা চামুলি খাতুন বাদি হয়ে ৬ জানুয়ারি গাইবান্ধা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেন। আদালত সাঘাটা থানা পুলিশকে মামলা তদন্তের নির্দেশ দেন। সাঘাটা থানা পুলিশ ঘটনাটি মিথ্যা বলে ৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।

ওই বছরের ৩ মার্চ বাদি ওই প্রতিবেদনের উপর আদালতে নারাজির আবেদন করেন। পরে আদালত ঘটনাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। বিচারিক হাকিম সাক্ষী নিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ২৯ মার্চ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর থেকে আসামি নজরুল ইসলাম পলাতক ছিলেন।

এদিকে নজরুলের বড়ভাই মজনু মিয়া মোজাফফরকে নজরুল ইসলাম সাজিয়ে আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন জানান। মজনু মিয়া রোববার রাত আটটায় মুঠোফোনে বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর থেকে আমার ভাই পলাতক ছিল। গত ৩০ মার্চ জামিন নেওয়ার জন্য তাকে বাড়িতে ডেকে এনে অন্য গ্রামে রাখি। পরদিন দেখি সে নেই। পরে এক উকিল ও মহুরীর কথামত মোজাফফরকে সিএনজিতে করে গাইবান্ধা নিয়ে যাই। জোর করে নিয়ে যাইনি। তাকে বলি আমার ভাই নেই, তুমি আদালতে উঠবি আর নামবি। অথচ জামিন নামঞ্জুর হবে আমরা ভাবিনি।

গাইবান্ধা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ওইদিন (১০ এপ্রিল) ঘটনাটি আমাদের নজরে আসেনি। আইনজীবীদেরও সব আসামি চিনে রাখা সম্ভব হয় না। হয়তো কোনো ভাবে এমনটা হয়ে যেতে পারে। তবে এমনটা হয়ে থাকলে বাদির মাধ্যমে মুল আসামি চিহ্নিত করতে হবে। আসামি চিহ্নিত হলে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হবে।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft