প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে গোপনে দেশ বিক্রি হলে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া কীভাবে জানলেন- এমন প্রশ্নও রেখেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেই সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের সাঙ্গে আপোস নয়, সরকার কওমি মাদ্রাসারা উচ্চ শিক্ষার স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলীয় এমন অবস্থানের কথা জানান কাদের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে বুধবার খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য হাস্যকর, উদ্ভট, স্ববিরোধী, অজ্ঞতার পরিচয়, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও উসকানিমূলক বলে আখ্যায়িত করেছেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বলেছেন- চুক্তি নাকি গোপনে হয়েছে। আবার বলছেন, দেশ নাকি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। গোপনই যদি হয়ে থাকে, তাহলে দেশ বিক্রির কথা খালেদা জানলেন কীভাবে? আওয়ামী লীগ নেতা কাদের বলেন, শুধু ভারত নয়, পৃথিবীর অনেক দেশের সঙ্গে এমওইউ সমঝোতা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
হেফাজত আমির আল্লামা শফীর সঙ্গে বৈঠক এবং সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গন থেকে গ্রিক মূর্তি অপসারণের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, কওমি মাদ্রাসার উচ্চশিক্ষার স্বীকৃতি দেওয়া মানে হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে কোনও আপোস করা নয়। এটা রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতা। জনগণের আবেগ অনুভূতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গকারীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, কুমিল্লাসহ সারাদেশে দলের শৃঙ্খলাভঙ্গের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ব্যাপারে কেস টু কেস ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যারা দলে শৃঙ্খলাবিরোধী কাজের জন্য পেছন থেকে ম“ যোগাচ্ছে ও উসকানি দিচ্ছে তাদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে আওয়ামী লীগ এবার বৈশাখী র্যালি বাতিল করেছে। এর আগে মহানগর আওয়ামী লীগ বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পর্যন্ত র্যালি করার কথা ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবীর নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম, এনামুল হক শামীম প্রমুখ।